• বাংলার ছাত্ররা এই অসভ্যতামি করে না, ‘নিহিত স্বার্থে’ নবান্ন অভিযান, দাবি পুলিশের
    হিন্দুস্তান টাইমস | ২৮ আগস্ট ২০২৪
  • নবান্ন অভিযানের নামে যা চলেছে, তা তাণ্ডব বললেও কম বলা হবে। ‘তাণ্ডব’ বিশেষণটা ব্যবহার করলেও সঠিকভাব সেই গুন্ডামির ব্যাখ্যা করা যাবে না। এমনই দাবি করলেন পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের এডিজি । তাঁর কথায়, 'পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজের নামে আন্দোলনের ডাক দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু আন্দোলনের যে চেহারা দেখা গেল, তাতে মনে হয় না যে পশ্চিমবঙ্গের কোনও প্রকৃত ছাত্রছাত্রী এরকম গুন্ডামি করতে পারে। আমরা সেটা বিশ্বাসও করি। পশ্চিমবঙ্গের কোনও প্রকৃত ছাত্র এরকম অসভ্যতা করতে পারে না।'

    রাজ্য পুলিশের এডিজি দাবি করেন, আজ আন্দোলন কতটা শান্তিপূর্ণ থাকল, তা সকলে দেখেছেন। আন্দোলনকারীরা এলেন। ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’-র প্ল্যাকার্ড নিয়ে তাঁরা ব্যারিকেড ধরে ঝাঁকাতে শুরু করলেন। বারবার শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের আর্জি জানানো হয়। কিন্তু তারপরও ভাঙা হয় ব্যারিকেড। ভাঙা হয় গার্ডরেল। পুলিশকে লক্ষ্য করে লাঠিসোঁটা-ইট বৃষ্টি করা হয়। মারধর করা হয় পুলিশকে। রক্তাক্ত করা হয়।

    রাজ্য পুলিশের এডিজি জানান, পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজের তরফে সাংবাদিক বৈঠক করে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করার কথা হয়েছিল। কিন্তু অশান্তিপূর্ণ আন্দোলন হল। দুষ্কৃতী আন্দোলন বলা যেতে পারে। পশ্চিমবঙ্গের ছাত্র সমাজের নামে একদল দুষ্কৃতীর বেপরোয়া, বেলাগাম তাণ্ডবের সাক্ষী থাকল রাজ্য। তাঁর কথায়, 'তাণ্ডব ছাড়া কী বিশেষণ প্রয়োগ করা যায়, তা আমরা জানি না। তাণ্ডবও বোধহয় খুব নরম বিশেষণ হল। সম্পূর্ণ বিনা প্ররোচনায় সেই কাজটা করা হয়।'

    সেখানেই থামেননি রাজ্য পুলিশের এডিজি । তিনি ইঙ্গিত দেন, আন্দোলনকারীরা চাইছিলেন যে গুলি চালানো হোক। কিন্তু সেই পথে হাঁটেনি পুলিশ। বজায় রেখেছে সংযম। তাঁর কথায়, একদল আন্দোলনকারী চাইছিলেন যে পুলিশ এমন কিছু করে ফেলুক, যাতে তাঁদের সুবিধা হয়। কিন্তু পুলিশ সেই ফাঁদে পা দেয়নি। যেখানে যতটুকু প্রয়োজন, সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা সুরক্ষিত করতে এবং শান্তি বজায় রাখতে ন্যূনতম বলপ্রয়োগ করতে হয়েছে। 

    রাজ্য পুলিশের এডিজি দাবি করেন, কমপক্ষে ১৫ জন পুলিশ আধিকারিক আহত হয়েছেন। অনেককে গ্রেফতার করা হয়েছে। আটক করা হয়েছে অনেককে। ভিডিয়ো ফুটেজ থেকে বাকিদেরও চিহ্নিত করে আইন মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)