• ৫০ শতক জমি থাকলেই এবার কৃষিযন্ত্রে ভর্তুকি পাবেন চাষিরা
    বর্তমান | ২৮ আগস্ট ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কৃষ্ণনগর: এবার ৫০ শতক জমি থাকলেই কৃষিযন্ত্রে ভর্তুকি পাবেন চাষিরা। অর্থাৎ, দু’বিঘের কিছু বেশি জমি থাকলেই এই সুযোগ পাওয়া যাবে। আগে একশো শতক জমি থাকলে তবেই কৃষি যান্ত্রপাতি কেনার ক্ষেত্রে এই সুবিধা পেতেন। তবে, এ বছর থেকে রাজ্য সরকার তাতে পরিবর্তন এনেছে। মূলত ক্ষুদ্র চাষিদের স্বার্থেই এই পরিবর্তন আনা হয়েছে। কারণ, এমন অনেক চাষি রয়েছেন যাঁদের বড়ো জমি নেই। তাঁদের পাওয়ার টিলার ও সোলার পাম্প মেশিনের জন্য ছাড়ের ঘোষণা করেছে রাজ্য।  যন্ত্রপাতির দামের উপর প্রায় ৫০ থেকে ৬০ শতাংশ ভর্তুকি দেওয়া হবে। পঞ্চাশ শতক জমি থাকলেই চাষিরা আবেদন করতে পারবেন। এর ফলে সমাজের বড়ো অংশের চাষিরা উপকৃত হবেন বলে মনে করছে কৃষিদপ্তর। 

    কৃষি দপ্তরের এক আধিকারিক জানান, ‘হাফ একর জমি থাকলেই চাষিরা ভর্তুকিতে চাষের যন্ত্রপাতি কেনার জন্য আবেদন করতে পারবেন। তিন লাখ টাকা পর্যন্ত পঞ্চাশ শতাংশ ভর্তুকি দেওয়া হবে। চাষিদের স্বার্থে জমির পরিমাণ কমানো হয়েছে। এতে ক্ষুদ্র চাষিরা বিশেষভাবে উপকৃত হবেন। কৃষি যন্ত্রপাতি কেনার প্রক্রিয়া ইতিমধ্যেই চালু হয়েছে।’

    গত ২০ আগস্ট থেকে সরকারি ভর্তুকিতে কৃষি যন্ত্রপাতি কেনার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। যা সেপ্টেম্বরে ৯ তারিখ পর্যন্ত চলবে। মাটির কথা পোর্টালের মাধ্যমে চাষিদের চাষের কাজে প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি কেনার জন্য আবেদন করতে পারবেন। কৃষি যন্ত্রপাতি কেনা ও যন্ত্রাদি ভাড়া, কেন্দ্র স্থাপন, গোটা প্রক্রিয়াটি চারটি প্রকল্পের আওতায় হয়। প্রথম দুটি হল ক্ষুদ্র ও বড় শক্তিচালিত কৃষি যন্ত্রপাতি ক্রয়ের জন্য এককালীন আর্থিক সহায়তা। তৃতীয়টি হল, কৃষি যন্ত্রাদি ভাড়া কেন্দ্র স্থাপনের জন্য আর্থিক সহায়তা প্রকল্প বা কাস্টম হায়ারিং সেন্টার‌। এবার এই তালিকায় নতুন সংযোজন হলো ফার্ম মেশিনারি ব্যাঙ্ক বা কৃষি যন্ত্রাদি ব্যাঙ্ক স্থাপনের জন্য আর্থিক সহায়তা প্রকল্প। 

    ‘বড় শক্তিচালিত কৃষি যন্ত্রপাতি’ প্রকল্পে নিয়মের বদল আনা হয়েছে‌। তবে শুধুমাত্র পাওয়ার টিলার ও সোলার পাম্প যন্ত্র কেনার জন্য এই নয়া নিয়ম লাগু হবে। পাওয়ার টিলার দিয়ে ফসল কাটার কাজ করা হয়। অন্যদিকে, সোলার পাম্প কাজে লাগে জল সেচের জন্য। দুটোই চাষের কাজে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সেই যন্ত্র ভর্তুকিতে কিনতে গেলে চাষিরা একশো শতক বা এক একর জমি থাকা বাধ্যতামূলক ছিল। কিন্তু অনেক চাষিরাই একশো শতক জমি নেই। তাই এবার নিয়মে বদল আনা হয়েছে। যেখানে বলা হয়েছে চাষিদের পঞ্চাশ শতক জমি থাকলেই যন্ত্র কেনার জন্য আবেদন করতে পারবেন।‌

    নদীয়া জেলার কৃষি কর্মাধ্যক্ষ সিরাজ শেখ বলেন, ‘আমাদের রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী চাষিদের কথা সর্বদাই ভেবে থাকেন। চাষিরা কীভাবে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে চাষবাস করে লাভবান হতে পারবেন, সেই দিকেই আমরা নজর রাখি। তাই কৃষি যন্ত্রপাতি কেনার ক্ষেত্রে ভর্তুকি দেওয়া হয়। এর ফলে চাষিরা বিশেষ করে উপকৃত হন।’
  • Link to this news (বর্তমান)