• পুজোর ফ্যাশনে বাজার মাতাচ্ছে বাচ্চাদের সারারা-গারারা, ছেলেদের টুইস্টার পোশাক
    বর্তমান | ২৮ আগস্ট ২০২৪
  • সংবাদদাতা, বহরমপুর: দুর্গাপুজো দরজায় কড়া নাড়তে শুরু করেছে। শারদোৎসবকে সামনে রেখে পোশাকে নতুন নতুন ফ্যাশনের জন্ম হয়। পোশাকের বাহারের সঙ্গে ডিজাইনারদের দেওয়া নামের চমকও থাকে। এবার শিশু ও কিশোরীদের পুজোর নতুন পোশাক ‘সারারা গারারা’ ইতিমধ্যে আলোড়ন ফেলেছে। পুজোর বাজার শুরু হতেই এই ট্রেন্ডিং পোশাকের দিকে ঝুঁকতে শুরু করেছে পাঁচ থেকে পনেরো বছর বয়সি মেয়েরা। অন্যদিকে শিশু, কিশোর, যুবকদের পোশাকেও এবার ‘টুইস্টার’ বাজিমাত করতে চলছে বলে বস্ত্র বিক্রেতারা দাবি করেছেন। ছেলে ও মেয়েদের দুই পোশাকেই নতুনত্বের ছোঁয়া রয়েছে। বহরমপুর শহরে দেদার বিকচ্ছে সারারা গারারা। পাল্লা দিয়ে টুইস্টারের চাহিদা বাড়ছে।

    আজ থেকে ৪২ দিন পর দুর্গাপুজোর ষষ্ঠীর ঢাকে কাঠি পড়বে। কাশফুল আর শিউলি বাতাসে পুজোর গন্ধ ছড়িয়ে দিয়েছে। প্রতিমা শিল্পী, মণ্ডপ শিল্পীরাও জোরকদমে তোড়জোড় শুরু করে দিয়েছেন। পাশাপাশি বাঙালি পরিবারে পুজোর কেনাকাটাও শুরু হয়ে গিয়েছে। পুজোর কেনাকাটা শুরু হতেই বস্ত্র বিপণিগুলি হাল ফ্যাশনের পসরা সাজিয়ে বসে পড়েছেন।

    এবার পুজোর ফ্যাশনে সারারা গারারা তাক লাগিয়েছে। মেয়েদের পছন্দের পোশাকের তালিকায় টপ, চুড়িদার বিশেষভাবে জায়গা করে নিয়েছে। এবার টপ, চুড়িদারকে পাশে ঠেলে সেই জায়গা দখল করেছে সারারা গারারা। বিশেষভাবে কারুকার্য করা পোশাকের নীচের অংশ ঢিলেঢালা। উপরের অংশ শরীরের সঙ্গে ফিটিং হয়। পাঁচ থেকে পনেরো বছরের মেয়েদের এই পোশাক সূতি ও পিওর সিফনের তৈরি দুই ধরনেরই বাজারে এসেছে। বস্ত্র বিক্রেতারা জানিয়েছেন, আড়াই হাজার টাকা থেকে শুরু করে ১০ হাজার টাকার সারারা গারারা বাজারে এসেছে। 

    অন্যদিকে ছেলেদের শার্ট টুইস্টার সম্পূর্ণ বিদেশের। বস্ত্র বিক্রেতাদের দাবি, দেশীয় বস্ত্র কারখানায় বিশেষ ধরনের কাপড়ের তৈরি এই পোশাক এখনও বানানো শুরু হয়নি। টুইস্টারের দাম এক হাজার টাকা থেকে শুরু হচ্ছে। বহরমপুরের প্রসিদ্ধ বস্ত্র বিক্রেতা শেখর মারাঠি বলেন, ডিজাইনের রদবদল করে দুর্গাপুজোর আগে প্রতি বছর পোশাকে নতুন কিছুর আমদানি হয়। নামেও চমক থাকে। এবার ক্রেতাদের সারারা গারারার দিকে ঝোঁক অনেক বেশি। টুইস্টার খুবই উন্নত মানের কাপড়ের তৈরি শার্ট। 

    আগস্ট মাসের মাঝামাঝি কাপড়ের দোকানগুলিতে ভিড় জমতে শুরু করেছে। অধিকাংশ পরিবার প্রথমে শিশু, কিশোরদের পোশাক ঘরে তোলার দিকেই নজর দেন। ধাপে ধাপে পরিবারের সকলের জন্য কেনাকাটা শুরু হয়। কান্দি থেকে বহরমপুরে ছেলেমেয়ের জন্য পোশাক কিনতে এসেছিলেন মৌসুমি বসাক। তিনি বলেন, মেয়ে হোমওয়ার্ক করেই এসেছিল। এক নজরে পিওর সিফনের সারারা গারারা পছন্দ করল। ছেলে নিয়েছে জিনস ও টুইস্টার। পুজোর চারদিন চার ধরনের পোশাক পরা এখন চল হয়ে দাঁড়িয়েছে। বাকি দিনগুলির জন্য মেয়েদের গাউন, জিনস টপ, চুড়িদারের চাহিদাই বেশি। বস্ত্র বিক্রেতা বন্টু তাপরিয়া বলেন, পুজোর পোশাক কিনতে এসে সবাই নতুন কী বেরিয়েছে খোঁজ করেন। খরিদ্দারের পছন্দের দিকেই আমাদের নজর দিতে হয়।
  • Link to this news (বর্তমান)