• বিক্ষোভকারীদের আত্মরক্ষার ‘ঢাল’ ব্র্যাবোর্ন রোড ফ্লাইওভার, হাওড়া ব্রিজে টিয়ার গ্যাস, জল কামান
    বর্তমান | ২৮ আগস্ট ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, বিধাননগর: হাওড়া ব্রিজে তখন অশান্তি চরমে। বিক্ষোভকারীদের ঠেকাতে পুলিস ছুড়ছে টিয়ার গ্যাসের সেল। সঙ্গে লাগাতার জল কামান। ব্রিজের উপর সেই গণ্ডগোল থেকে আত্মরক্ষায় ব্যস্ত ‘ছাত্ররা’ ছুটে এসে আশ্রয় নিলেন এম জি রোডের মুখে ফ্লাইওভারের তলায়। সেখানে তখন কোনও গণ্ডগোল নেই। ফ্লাইওভারের তলা ছিল তাঁদের কাছে মূল ‘শেল্টার’। সেখানে পুলিসও কম ছিল। যদিও সেই আশ্রয়স্থল অবশ্য বেশিক্ষণ নিরাপদ ছিল না। পরে সেখানে জল কামান না পৌঁছলেও টিয়ার গ্যাস হাতে পৌঁছে যায় বিশাল পুলিস বাহিনী। নিরাপদ আশ্রয় ছেড়ে বিক্ষোভকারীরা তখন পালিয়ে যান কলেজ স্ট্রিটের দিকে।

    দুপুর ১টা নাগাদ হাওড়া ব্রিজে অশান্তি শুরু হয়। আইন শৃঙ্খলা বজায় রাখতে পুলিসও প্রস্তুত ছিল। জলের সোর্স ছিল গঙ্গা। শুরু হয় জল কামান। তারপরই ছোঁড়া হয় কাঁদানে গ্যাসের সেল। এদিকে, ওই সময় কলেজ স্কোয়ার থেকে একদল বিক্ষোভকারী মিছিল করে হাওড়া ব্রিজের দিকে যাচ্ছিলেন। এম জি রোড থেকে ফ্লাইওভারের তলা দিয়ে হাওড়ার ব্রিজের দিকে বিক্ষোভকারীরা যান। ফ্লাইওভারের তলায় ব্যারিকেড করা ছিল। তার উপর ব্যানার দিয়ে লেখা ছিল, ‘শান্তি বজায় রাখুন, আইন মেনে চলুন, পুলিস প্রশাসনের সঙ্গে সহযোগিতা করুন’। কিন্তু, বিক্ষোভকারীরা হাওড়ার ব্রিজে গিয়েই জল কামান ও টিয়ার গ্যাসের সেলের মুখে পড়েন। পিছু হটেন তাঁরা। কিন্তু, যাবেন কোথায়?

    বেশিরভাগই ফিরে আসেন এম জি রোডের মুখে ওই ফ্লাইওভারের তলায়। সেখানে প্রচুর লোকজন জড়ো হন। তাঁরা একে অপরকে বলতে থাকেন, ‘এখানে পুলিস আসবে না। একটু দাঁড়াই।’ তাঁদের মধ্যে কয়েকজন শান্তি বজায় রাখার ব্যানার সহ ব্যারিকেড ভেঙে ফেলেন। ছিঁড়ে ফেলা হয় ব্যানার। প্রায় ৩০ মিনিট ওই আশ্রয়স্থল নিরাপদ ছিল। হঠাৎ সেখানে উড়ে এসে পড়ে টিয়ার গ্যাসের সেল। পরপর একাধিক সেল উড়ে আসতে থাকে ওই ফ্লাইওভারের তলায়। ছত্রভঙ্গ হয় জনতা। সঙ্গে সঙ্গে হাওড়া ব্রিজের দিক থেকে বিরাট পুলিস বাহিনী এসে পৌঁছয় সেখানে। তখন বিক্ষোভকারীদের বেশিরভাগই দৌড়ে পালাতে থাকেন এম জি রোড ধরে কলেজ স্ট্রিটের দিকে। কেউ ফ্লাইওভারের তলা দিয়ে দৌড়লেন স্ট্র্যান্ড রোড ধরে। কয়েকজনকে ধরাও হল। তোলা হল প্রিজন ভ্যানে।
  • Link to this news (বর্তমান)