• অভিষেক
    এই সময় | ২৮ আগস্ট ২০২৪
  • আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে কেন এখনও গ্রেপ্তার করতে পারেনি সিবিআই? তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা দিবসের মঞ্চ থেকে প্রশ্ন ছুড়লেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। একইসঙ্গে 'ধর্ষণ বিরোধী কঠোর আইন' আনার দাবিতে সরব হন তিনি। অভিষেক বলেন, 'কেন্দ্র এই আইন আনার জন্য পদক্ষেপ না করলে আমি সাংসদ হিসেবে প্রাইভেট মেম্বার্স বিল পেশ করব।'আরজি কর কাণ্ডের পর থেকেই আন্দোলনকারীদের একাংশ সন্দীপ ঘোষকে গ্রেফতারের দাবি তুলেছেন। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে মামলার তদন্ত করছে সিবিআই। এ দিনের সভায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'আমরাও দোষীদের শাস্তি চাই। আদালতের নির্দেশে সিবিআই মামলা তদন্ত শুরু করার পর ১৪ দিন পেরিয়ে গিয়েছে। অনেকেই সন্দীপ ঘোষকে গ্রেফতারের দাবি করেছেন। কেন ১৪ দিন পরেও তিনি খুন ও ধর্ষণের মামলায় গ্রেপ্তার হননি তার জবাব সিবিআইকে দিতে হবে।’

    এ দিনের সভা থেকে ফের 'ধর্ষণ বিরোধী কঠোর আইন'-এর পক্ষে সওয়াল করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, 'ভারতে ধর্ষণ বিরোধী কঠোর আইন আনা উচিত কিনা আপনারাই বলুন? এক থেকে দুই মাসের মধ্যে বিচার প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে। বিজেপির নেতাদের বলব যাঁরা নবান্ন অভিযান করে মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করছেন তাঁরা সংসদ অভিযান করে ধর্ষণ বিরোধী কঠোর আইন আনার দাবি তুলুন। আমি বলছি এদের (বিজেপির) সেই ক্ষমতা নেই। তাহলে সবার আগে জেলে যাবে বিজেপি লোকরা।' অভিষেক বলেন, 'কেন্দ্রীয় সরকার আইন না করলে আমি প্রাইভেট মেম্বার্স বিল পেশ করব সংসদে।'

    'পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজ'-এর ডাকা 'নবান্ন অভিযান'-কে কটাক্ষ করে অভিষেক বলেন, 'গতকাল যাঁরা পথে নেমেছিলেন তাঁদের মধ্যে একজন ভদ্রলোককেও দেখাতে পারবেন না। কেউ বলছেন বিএসসিতে সায়েন্স নিয়ে কমার্স পড়ছি। কেউ বলছেন ২৩ বছর বয়স, স্কুলে পড়ি। অথচ স্কুলের নাম বলতে পারছে না। এটাই বিজেপির আসল চেহারা।' অভিষেকের সংযোজন, 'বিজেপির নেতাদের অনুরোধ করব প্রতি ২৮ আগস্ট বন্‌ধ ডাকুন। কী ভাবে বন্‌ধের মোকাবিলা করতে হয় মানুষ জানে।'

    এনসিআরবি-র রিপোর্ট উল্লেখ করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'গত ১০ বছরে সবথেকে বেশি মহিলাদের বিরুদ্ধে অত্যাচারের ঘটনায় যে রাজ্য প্রথম তা উত্তরপ্রদেশ, দ্বিতীয়-তৃতীয়-চতুর্থ স্থানে রয়েছে মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, মহারাষ্ট্র। পারলে বিজেপি শাসিত এই চার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করবেন। তারপর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিকে আঙুল তুলবেন।'
  • Link to this news (এই সময়)