এই সময়, ভাঙড়: কাজের চাপ বাড়লেও অনেকেই দেরি করে অফিস আসেন বলে অভিযোগ। তাই ব্লক অফিসে বায়োমেট্রিক হাজিরা চালু করা হলো। ভাঙড় ২-এর বিডিও পার্থ বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের উদ্যোগে এমন ব্যবস্থা করেছেন বলে জানা গিয়েছে। বায়োমেট্রিক হাজিরা নিয়ে তটস্থ সরকারি কর্মচারীরা।ব্লক প্রশাসন সূত্রের খবর, এতদিন অ্যাটেনড্যান্স রেজিস্টার বা হাজিরা খাতায় সই করে অফিসে হাজিরা দিতেন ব্লকের কর্মচারীরা। ভাঙড়-২ বিডিও অফিসে মোট স্থায়ী কর্মীর সংখ্যা ৫২ এবং চুক্তিভিত্তিক কর্মীর সংখ্যা ১২ জন। বিডিওর ঘরে দু’টি হাজিরা খাতা আছে, সেখানেই সই করেন কর্মচারীরা। মূলত সকাল সাড়ে ১০টা থেকে সাড়ে ৫টা পর্যন্ত অফিস টাইম।
অভিযোগ, সাড়ে ১০টার সময় ব্লক কার্যালয় খাঁ খাঁ করে, কোনও সরকারি কর্মচারীর দেখা পাওয়া যায় না। আবার সাড়ে পাঁচটায় ছুটির সময় হলেও অনেকেই সাতটা, আটটা এমনকী রাত ন’টা পর্যন্ত কাজ করেন। আবার কেউ কেউ নিঃশব্দে বিকেলেই চলে যান। এ সব তথ্য নিজের নখদর্পণে রাখার জন্য নিজের ঘরে বায়োমেট্রিক মেশিন বসিয়েছেন বিডিও।
সেখানে আঙুলের ছাপ বা মুখের ছবি অটোমেটিক উঠবে এবং ইন ও আউট টাইম রেকর্ড হবে। ব্লক অফিসের এক কর্মচারী বলেন, ‘বেশির ভাগ লোকজন নির্দিষ্ট সময়ের থেকে অনেক বেশি সময় অফিসে থাকেন। তবে অফিসে আসা-যাওয়ার টাইমের কোনও ঠিক ঠিকানা নেই, তা অনেকটা মর্জি মতোই চলে। এক দু’জন আছেন যাঁরা ফাঁকিবাজি করেন। এই ব্যবস্থার ফলে তাঁরা বিপদে পড়বেন।’
বিডিও পার্থ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য, ‘সব কিছুর একটা ডিসিপ্লিন থাকা দরকার। কর্মসংস্কৃতি ঠিক রাখতে আপাতত ব্লক অফিসে এই ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। খুব শীঘ্র ভাঙড়-২ ব্লকের ১০টি গ্রাম পঞ্চায়েতের অফিসেও বায়োমেট্রিক মেশিন বসানো হবে। ফলে সরকারি অফিসে কর্মচারীরা কখন আসছেন, কখন যাচ্ছেন তা অটোমেটিক রেজিস্টার হবে এবং তা নিজের কম্পিউটার কিংবা মোবাইলেই মনিটরিং করতে পারবেন বিডিও।’