এই সময়: আরজি করের দুর্নীতি মামলা সংক্রান্ত যাবতীয় নথি সোমবার রাতে ইডির সদর দপ্তর থেকে চাওয়া হলো। সূত্রের খবর, হেড কোয়ার্টার থেকে সিগন্যাল মিললেই আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে ইসিআইআর (পুলিশ বা সিবিআইয়ের ক্ষেত্রে যা এফআইআর) দায়ের করে আসরে নামবে ইডি। এর আগে শিক্ষক নিয়োগ থেকে রেশন দুর্নীতি মামলায় সিবিআই প্রথমে তদন্ত শুরু করেছিল।
পরবর্তীতে তদন্ত হাতে নেয় ইডি। এক্ষেত্রেও তেমন-ই হতে চলেছে বলে সূত্রের খবর। দুর্নীতি মামলায় সিবিআইয়ের তরফে আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ-সহ ৪ জনের বিরুদ্ধে শনিবার অভিযোগ দায়ের করে তদন্তে নামে সিবিআই। প্রথম যে অভিযোগটি করা হয় তাতে প্রতারণা, অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের অভিযোগ আনা হয়।তার সঙ্গে এদিন জালিয়াতির ধারা যুক্ত করার আর্জি আলিপুর আদালতে জানানো হয়েছে বলে সূত্রের দাবি। সিবিআইয়ের আর্থিক দুর্নীতি দমন শাখার অফিসাররা অভিযোগ দায়ের করার পরদিন আরজি করের প্রাক্তন উপাধ্যক্ষ সঞ্জয় বশিষ্ঠ, হাসপাতালের শিক্ষক-চিকিৎসক দেবাশিস সোম, ভেন্ডার বিপ্লব সিংহ-সহ আরও বেশ কয়েকজনের বাড়িতে পৌঁছে যান।
একটি সূত্র জানাচ্ছে, কতদিন ধরে এই দুর্নীতির কারবার চলছিল, মর্গ থেকে দেহ পাচারের কী ভাবে ঘটেছে, হাসপাতালের টেন্ডার পাইয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে কী নিয়ম রয়েছে এবং তাতে অধ্যক্ষদের কী ভূমিকা থাকে, তা জানতেই সঞ্জয় ঘনিষ্ঠদের বাড়ি গিয়েছিলেন অফিসারেরা। প্রত্যেকের বাড়ি থেকেই বেশ কিছু নথি মিলেছে। যা যাচাই করে দেখা হচ্ছে।
ঘটনা হলো, বেশ কয়েকবছর আগে আরজি কর হাসপাতালের দুর্নীতি নিয়ে সরব হয়েছিলেন প্রাক্তন ডেপুটি সুপার আখতার আলি। তিনি আরজি কর হাসপাতালের আর্থিক দুর্নীতি নিয়ে ইডি ও সিবিআইকে দিয়ে তদন্ত করানোর আর্জি জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। সেই মামলার ভিত্তিতে সিবিআইয়ের হাতে তদন্তভার তুলে দেয় আদালত।
অভিযোগকারী আখতারকেও তদন্তের স্বার্থে চলতি সপ্তাহে ডেকে পাঠানো হবে বলে ইঙ্গিত মিলেছে সিবিআই সূত্রে। এ প্রসঙ্গে আখতার এদিন রাতে বলেন,‘সব রকম ভাবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত। যেদিন ডাকবে সেদিনই যাব।’
জানা গিয়েছে, রবিবার আরজি কর হাসপাতাল থেকে সন্দীপের ব্যবহৃত যে কম্পিউটার বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে তা এদিন খতিয়ে দেখেন তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা। হাসপাতালের অর্থ বিভাগ থেকেও কিছু নথি মিলেছে। সে সব খতিয়ে দেখেও দুর্নীতির বিষয়ে তথ্য জানার চেষ্টা চালাচ্ছেন তদন্তকারীরা।