নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: প্রায় ঘণ্টা দু’য়েকের বেশি সময় ধরে ধর্মতলা অবরুদ্ধ করে বসে রইল ছাত্রের নামে বিজেপি-আরএসএসের বাহিনী। পুলিস ধৈর্যের পরিচয় দিল। কর্তব্যরত পুলিস আধিরাকিরা বলছিলেন, যতক্ষণ ইচ্ছে করুক। শান্তিপূর্ণভাবে করুক। পূর্ণ শান্তি তো ওদের কাছ থেকে আশা করা যায় না। ঠিক সেটাই হল, মুখ্যমন্ত্রীর ছবি দেওয়া দুর্গাপুজোর ফ্লেক্স ছেঁড়া হল। কেউ ভিডিও করলেই তেড়ে গেল তাণ্ডবকারীরা। ফাঁসি চাওয়ার প্ল্যাকার্ড হাতে হাতে, অচিরেই পরিণত হল লাঠিতে। হাতে লাঠি নিয়ে তারা ঘুরে বেড়াল। সমস্ত ফ্লেক্স একসঙ্গে রেখে দিল আগুনও। ওরা ‘মৃত্যু’ কামনা করল মুখ্যমন্ত্রীর! ভুলে গেলে চলবে না, এই আন্দোলন কিন্তু আর জি করের মৃত চিকিত্সকের বিচার চেয়ে ছিল।
বেলা সাড়ে ৪টে নাগাদ শুরু হওয়া এই অবস্থান চলল সন্ধ্যা পর্যন্ত। আন্দোলনের নামে একেবারে ফুরফুরে মেজাজে রইল তারা। কেউ রাস্তাতেই গা এলিয়ে গরম চায়ে চুমুক দিল। আর মাঝে মধ্যে চলল ওইসব ভাঙচুর। কখনও ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’ বলে চিত্কার করে উঠল তারা। ফ্লেক্স ছেঁড়ার প্রসঙ্গে মেয়র তথা রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘দুর্গাপুজোর একাধিক পোস্টার ছিঁড়েছে বিজেপি। অথচ ওরাই বলেছিল, বাংলায় নাকি দুর্গাপুজো হয় না! এদিন তারাই ছিঁড়েছে দুর্গাপুজোর পোস্টার-ফ্লেক্স। অক্ষরজ্ঞান নেই। বিজেপির গুন্ডারা অশিক্ষিত। কীসের পোস্টার, সেটাই জানে না ওরা।’ এরই মাঝে বিজেপি আজ, বুধবার ১২ ঘণ্টার বন্ধ ডেকেছে। এই বিষয়ে ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘এখন আর রাজ্যে ধর্মঘটের সংস্কৃতি নেই। কোনও শ্রম দিবস নষ্ট হয় না। বাংলায় সেই সংস্কৃতি আর ফিরতে দেব না। বাংলা সচল থাকবে। বিজেপি বারবার প্রত্যাখ্যাত হচ্ছে। ২০২৪-এ মানুষ প্রত্যাখ্যান করেছে ওদের। তাই এখন পিছন দিক দিয়ে নবান্নে ঢোকার দিবাস্বপ্ন দেখছে ওরা।’ এছাড়াও বিজেপির রাজ্যপালের কাছে রাষ্ট্রপতির শাসনের দাবি প্রসঙ্গে ফিরহাদ বলেন, ‘রাজ্যপাল মোয়া দিয়েই গদিতে বসিয়ে দেবেন ওদের, মানুষের সমর্থন দরকার নেই! কে রাজ্যপাল? উনি মনোনীত আর আমরা মানুষের দ্বারা নির্বাচিত, অমিত শাহ কর্তৃক মনোনীত নই।’