'ধর্ষকের ফাঁসি চাই', আগামী ১০ দিনের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় এই বিল এনে রাজ্যপালের কাছে পাঠানো হবে, জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার তৃণমূল ছাত্র পরিষদের মেয়ো রোডের সমাবেশ মঞ্চে অংশ নেন তিনি। সেখানেই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'আগামী সপ্তাহে অধ্যক্ষকে বলে বিশেষ অধিবেশন ডাকব। ধর্ষকের ফাঁসি চাই , এই দাবিতে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় বিল পাশ করে রাজ্যপালের কাছে পাঠাব।'রাজ্যপালকে নিশানা করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'এই বিলে তাঁকে সই করতেই হবে। বোন-ভাইয়েরা রাজভবনের বাইরে গিয়ে বসে থাকবেন।' এর পাশাপাশি ধর্ষকের ফাঁসির দাবিতে একগুচ্ছ দলীয় কর্মসূচির কথা এ দিন ঘোষণা করেন তৃণমূল নেত্রী।
তিনি বলেন, 'শুক্রবার কলেজের গেটে গেটে ধর্ষকের ফাঁসির দাবিতে ছাত্রছাত্রীরা আন্দোলন করবেন।' একইসঙ্গে এই দাবিতে শনিবার সমস্ত ব্লকে তৃণমূল মিছিল করবে এবং বেলা ২টো থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ধর্না কর্মসূচিতে অংশ নেবে তৃণমূলের বিভিন্ন সংগঠন।‘ ১ সেপ্টেম্বর 'ধর্ষকের ফাঁসি চাই' দাবিতে রাজ্যের সব ব্লকে ধর্না আন্দোলন করার ডাক দিয়েছেন দলনেত্রী।
এ দিনের সভা থেকে মমতা বলেন, 'কেউ কেউ মনে করছে এটা বাংলাদেশ। ওদের দেশকে ভালোবাসি। কিন্তু মনে রাখবেন ওরা আলাদা রাষ্ট্র। আমরা আলাদা রাষ্ট্র। মোদীবাবু বাংলায় আগুন লাগালে আপনার চেয়ার টলমল করে দেব। অনেক ফান্ডিং করছেন। আমরা এর এন্ডিং করে দেব।'
আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসকদের উদ্দেশে মুখ্যমন্ত্রীর বার্তা, 'আমি আগেও ওদের দাবিকে সমর্থন করেছিলাম। ওদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নিইনি। নেব না। আপনারা কাজে যোগদান করুন। আমি কারও বিরুদ্ধে অ্যাকশন নিতে চাই না। সেক্ষেত্রে তাঁদের ভবিষ্যৎ নষ্ট হয়ে যাবে। আমরা সেটা চাই না। আমাদের সরকারের মানবিক মুখ রয়েছে। আমরা আরও চিকিৎসক তৈরি করতে চাই।'
'নবান্ন অভিযান'-এর দিন পুলিশের ভূমিকার প্রশংসা করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, 'পুলিশ সংযত ছিল। ওদের কারও মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়। কারও চোখ কেড়ে নিয়েছে। কারও হাত পা ভেঙে দিয়েছে। কিন্তু, ওরা সংযত থেকেছে। পুলিশ নিজের রক্ত দিয়েছে। কিন্তু, বিজেপির চক্রান্ত পা দেয়নি।'