• ‘বাংলায় আগুন লাগলে অসমেও.....’, মোদীর গদি টলমল করার হুমকি মমতার, পালটা হিমন্তের
    হিন্দুস্তান টাইমস | ২৮ আগস্ট ২০২৪
  • ‘আপনার এত সাহস হল কীভাবে? অসমকে হুমকি দিচ্ছেন’- এমনই ভাষায় পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ শানালেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। বুধবার কলকাতায় তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসের সমাবেশ থেকে মমতা যে মন্তব্য করেন, সেটার প্রেক্ষিতেই পালটা চাল দেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী। সেই মঞ্চ থেকে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী কড়া ভাষায় বলেন যে পশ্চিমবঙ্গে যদি বিজেপি আগুন লাগায় তাহলে ‘অসমও থেমে থাকবে না’। ‘থেমে থাকবে না’ অন্য রাজ্য। দিল্লিও থেমে থাকবে না। সেইসঙ্গে বাংলায় আগুন জ্বালানো হলে প্রধানমন্ত্রীর গদিও টলমল করে দেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী। আর তাতেই মমতাকে পালটা আক্রমণ শানালেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা।

    মেয়ো রোডের সভা থেকে মমতা বলেন, ‘কেউ-কেউ মনে করছেন, এটা বাংলাদেশ। আমি বাংলাদেশকে ভালোবাসি। ওরা আমাদের মতো কথা বলে। ওদের সংস্কৃতি, আমাদের সংস্কৃতি এক। কিন্তু মনে রাখবেন, বাংলাদেশ একটা আলাদা রাষ্ট্র। ভাবতবর্ষ একটা আলাদা রাষ্ট্র।’

    তিনি আরও বলেন, ‘মোদীবাবু, আপনার পার্টিকে দিয়ে আগুন লাগাচ্ছেন? মনে রাখবেন, বাংলায় যদি আগুন লাগান, অসমও থেমে থাকবে না। উত্তর-পূর্বও থেমে থাকবে না। উত্তরপ্রদেশও থেমে থাকবে না। বিহারও থেমে থাকবে না। ঝাড়খণ্ডও থেমে থাকবে না। ওড়িশাও থেমে থাকবে না। আর দিল্লিও থেমে থাকবে না। আপনার চেয়ারটা আমরা টলমল করে দেব।’

    সেখানেই থামেননি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো। বিজেপিকে সরাসরি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে তিনি বলেন, ‘চেয়ার দখলের লড়াই? ক্ষমতা থাকলে ভোটে যাও। গুলি নয়, ডেডবডি নয়, লাশ নয়।’ উল্লেখ্য, তৃণমূল কংগ্রেস অভিযোগ করেছে, মঙ্গলবার ‘পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজ’ যে নবান্ন অভিযান করেছিল, সেটার নেপথ্যে ছিল বিজেপি। আর পশ্চিমবঙ্গে অরাজকতা তৈরি করতে ‘বডি ফেলে দেওয়ারও’ চক্রান্ত করেছিল বলে অভিযোগ করেছে তৃণমূল।

    আর সেই মন্তব্যের পরেই পালটা মমতাকে আক্রমণ শানান হিমন্ত। তিনি বলেন, ‘দিদি, আপনার এত সাহস কীভাবে হল যে আপনি অসমকে হুমকি দিচ্ছেন? আমাদের রক্তচক্ষু দেখাবেন না। আপনি ব্যর্থতার রাজনীতির মাধ্যমে ভারতকে একদম অগ্নিগর্ভ করে তোলার চেষ্টা করবেন না। আপনার মুখে শোভা পায় না বিভাজনকারী ভাষা।’
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)