• ‘পার্টি যখন করছে, সমস্ত তৃণমূল নেতাকে করতে হবে, আপনি এটা করতে বাধ্য’
    হিন্দুস্তান টাইমস | ২৮ আগস্ট ২০২৪
  • সামাজিক মাধ্যমে প্রচারে পিছিয়ে পড়ছে তৃণমূল? বুধবার তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসে তেমনই ইঙ্গিত পাওয়া গেল দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্যে। এদিন মঞ্চ থেকে দলের নেতাদের সোশ্যাল মিডিয়ায় সক্রিয় থাকা বাধ্যতামূলক বলে ঘোষণা করলেন মমতা। একই সঙ্গে ভুয়ো পোস্ট দেখলে পুলিশে অভিযোগ করতে বললেন দলের নেতাদের।

    এদিন মমতা বলেন, ‘দলের নেতারা কেন সোশ্যাল নেটওয়ার্ক করেন না? পার্টি যখন করছে, আপনাকেও করতে হবে। আপনি এটা করতে বাধ্য। সমস্ত বিধায়ক, সাংসদ, কাউন্সিলর, ছাত্রনেতা, যুব নেতাদের কিন্তু ফেক ভিডিয়োর কাউন্টার করতে হবে। আর পুলিশের কাছে FIRও করতে হবে এরকম জিনিস দেখলে। যাতে পুলিশ পদক্ষেপ করে।’

    সোশ্যাল মিডিয়া বরাবরই তৃণমূলের দুর্বল জায়গা। বারবারই বাম ও বিজেপির কাছে সোশ্যাল মিডিয়ার প্রচারে পিছিয়ে পড়েছে তৃণমূল। কখনও পুলিশ দিয়ে ধরপাকড় করে, কখনও দলের নেতা - কর্মীদের দিয়ে ধমকে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেছে তারা। কিন্তু বলা বাহুল্য, তাতে কাজ হয়নি। সম্প্রতি আরজি কর ইস্যুতে ফের সোশ্যাল মিডিয়ায় তৃণমূল ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে ক্ষোভের ঝড় উঠেছে। সেই ঝড় মোকাবিলা করতে ব্যর্থ তৃণমূলের সোশ্যাল মিডিয়া সেল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমর্থনে কোনও পোস্ট করলেই ব্যঙ্গ বিদ্রূপে ভরা কমেন্টে ভরে যাচ্ছে। সোশ্যাল মিডিয়াতেই দানা বেঁধেছে মেয়েদের রাত দখলের আন্দোলন। 

    মমতার নির্দেশকে কটাক্ষ করে বিধানসভায় বিরোধী দলনেতা শংকর ঘোষ বলেন, তৃণমূলের চোখ রাঙানি উপেক্ষা করে সাধারণ মানুষ সামাজিক মাধ্যমে জনমত গড়ে তুলছে। এবার তাদের ওপরেও চোখ রাঙানো শুরু করলেন মমতা। এভাবে স্বতঃস্ফূর্ত জনমতকে দমিয়ে রাখা যায় না। পৃথিবীর বড় বড় ফ্যাসিবাদী নেতা ব্যর্থ হয়েছেন। আর সোশ্যাল মিডিয়ায় সক্রিয় থাকলে গেলে যে ন্যূনতম শিক্ষার প্রয়োজন হয় তা ওনার গুন্ডাবাহিনীর নেই। তাই এখানে উনি পিছিয়েই থাকবেন। এটা ওনাকে মেনে নিতেই হবে।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)