• ধর্ষকের ফাঁসি চাই, ১০ দিনের মধ্যে বিধানসভায় বিল পাশ করিয়ে নেব, ঘোষণা মমতার
    হিন্দুস্তান টাইমস | ২৮ আগস্ট ২০২৪
  • বিধানসভার বিশেষ অধিবেশন ডেকে ধর্ষণ-বিরোধী আইন পাশ করিয়ে নেবেন। আর সেই কাজটা আগামী ১০ দিনের মধ্যেই সম্পূর্ণ করবেন বলে ঘোষণা করলেন মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। বুধবার মেয়ো রোডে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসের সমাবেশ থেকে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘স্পিকারকে বলে আমি আগামী সপ্তাহে বিধানসভার অধিবেশন ডাকব। আমরা পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা থেকে আগামী ১০ দিনের মধ্যে ধর্ষকের ফাঁসির বিল পাশ করে আমরা রাজ্যপালের কাছে পাঠাব।’ সেইসঙ্গে তিনি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন যে রাজ্য়পাল যদি সেই বিলে স্বাক্ষর না করেন, তাহলে রাজভবনে গিয়ে ‘মেয়েরা ও ভাইয়েরা’ ধরনায় বসবেন।

    রাজ্য়পালকে আক্রমণ শানিয়ে মমতা বলেন, 'আমি জানি, রাজার পাঠ। রাজাবাবু কিছু করবেন না। না করলে মনে রাখবেন, মেয়েরা রাজভবনে গিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থাকবেন। ভাইয়েরাও থাকবেন। এই বিলে সই করতেই হবে। রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠিয়ে দিয়ে দায় সারলে হবে না।'

    সেই রেশ ধরেই রাজ্য়পালের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির যে অভিযোগ উঠেছিল, তা নিয়েও আক্রমণ করেন মুখ্য়মন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আপনি আবার বড়-বড় কথা বলেন কী। রাজভবনের একজন মহিলা কর্মীকে আপনি নির্যাতন করেন। মেয়েটা বিচার পায়নি। আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিল। তাকে আমি অন্য জায়গায় চাকরি দিয়েছি। তাকে আমি সরিয়ে দিয়েছি। থাকার জায়গা করে দিয়েছি। এই কথাগুলো বলতে পারেন না? লজ্জা নেই?’

    প্রাথমিকভাবে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসের সমাবেশ থেকে মমতা জানান, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি লিখে আবেদন করেছিলেন যে দ্রুত ধর্ষণ-বিরোধী আইন প্রণয়ন করা হোক। কিন্তু তাতে ভ্রূক্ষেপ করা হয়নি। রাজ্যের হাতে ক্ষমতা থাকলে সাতদিনের মধ্য়ে সেই আইন প্রণয়ন করে ফেলতেন বলে দাবি করেন মমতা। তাঁর মতে, ধর্ষকদের একমাত্র শাস্তি হল ফাঁসি। আর কিছু নয়। এই একটা কাজ করলেই সবকিছু ঠান্ডা হয়ে যাবে। দুর্বৃত্তরা ঠান্ডা হয়ে যাবে বলে দাবি করেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্য়মন্ত্রী।

    আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালের তরুণী চিকিৎসকের যে ঘটনা ঘটেছে, সেটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। রাজ্য সরকার চেয়েছিল যে ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টের মাধ্যমে সাতদিনের ব্যবস্থা করা হোক। সেইসঙ্গে কামদুনির ধর্ষণ কাণ্ড নিয়ে মমতা জানান যে রাজ্য সরকার ফাঁসি চেয়েছিল ধর্ষকদের। তবে আদালতের রায়ে দু'জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়েছে।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)