এই সময়: আনন্দপুরের বাসিন্দা প্রোমোটার আরিফ খানকে খুনের অভিযোগে মূল অভিযুক্ত আব্বাস এবং সহযোগী পঁচিশকে গ্রেপ্তার করল আনন্দপুর থানার পুলিশ। মঙ্গলবার রাতেই মুম্বই থেকে দু’জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এই নিয়ে এই ঘটনায় গ্রেপ্তারি বেড়ে দাঁড়াল ৩।গত ২৬ জুলাই সন্ধ্যায় তপসিয়া রোডের কাছে পঞ্চান্নগ্রামে খুন হন প্রোমোটার আরিফ খান। সিসিটিভি ফুটেজ এবং স্থানীয়দের বয়ান থেকে তদন্তকারীরা জানতে পারেন, চপার দিয়ে ওই প্রোমোটারকে খুন করেছে ৩ জন। পরদিনই জাকির আলি নামে একজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ঘটনার পরে গা ঢাকা দেন আব্বাস এবং পঁচিশ।
খুনের রাতেই হাওড়া থেকে ট্রেন ধরে হায়দ্রাবাদে চলে যান তাঁরা। খবর পেয়ে রবিবার রাতে সেখানে পৌঁছে যান লালবাজারের গোয়েন্দারা। তবে যে আত্মীয়ের বাড়িতে তাঁরা উঠেছেন বলে খবর ছিল, সেখানে গিয়ে পুলিশ কাউকে পায়নি। ওই বাড়ির সদস্যরা দাবি করেন, দু’জনের কেউই আসেননি। পুলিশ তার পর যদিও জানতে পারে, আত্মীয়ের বাড়িতেই গত একমাস ধরে ছিলেন আব্বাস-পঁচিশ। রবিবার সকালেই তাঁরা চলে গিয়েছেন।
এর পরেই ওই আত্মীয়দের জিজ্ঞাসাবাদ করে আব্বাসের মোবাইল নম্বর পায় পুলিশ। তার টাওয়ার লোকেশনের সূত্র ধরেই মুম্বইয়ের একটি হোটেলের ঠিকানা পান তদন্তকারীরা। মঙ্গলবার রাতে সেখান থেকে গ্রেপ্তার করা হয় দু’জনকে।
কী কারণে খুন? তদন্তে দাবি, প্রোমোটার আরিফের বাড়ির সামনে মাঝেমধ্যেই গাঁজার আসর বসাতেন আব্বাস। এর প্রতিবাদ করেছিলেন আরিফ। স্থানীয় কাউন্সিলারকেও জানিয়েছিলেন বিষয়টি। অভিযোগ পেয়ে আব্বাসকে ডেকে পাঠান কাউন্সিলার। সেই রাগ থেকেই আরিফকে খুনের পরিকল্পনা করেছিলেন আব্বাস। মহরমের আগে আরিফকে হাত-পা ভেঙে দেওয়ার হুমকিও দেন তিনি।