• 'সোশ্যাল মিডিয়ায় সক্রিয় থাকতেই হবে', তৃণমূল নেতা-কর্মীদের বার্তা মমতার
    এই সময় | ২৯ আগস্ট ২০২৪
  • 'কেন সোশ্যাল মিডিয়ায় সক্রিয় নন?' দলীয় নেতা, কর্মী, বিধায়ক, সাংসদদের প্রশ্ন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। নেট দুনিয়ায় সক্রিয় থেকে আসল এবং নকল বাছাইয়ের কাজ করতেই হবে, নির্দেশ নেত্রীর।বঙ্গ রাজনীতিতে মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়ের উত্থান 'মা-মাটি-মানুষ'-এর জন্য লড়াই করে। সিঙ্গুর হোক বা নন্দীগ্রাম, নেত্রী বরাবর গ্রাউন্ড জিরোতে থেকে লড়াই করেছেন। কিন্তু, অন্তর্জালের প্রভাব দিন দিন বাড়ছে। ইন্টারনেট স্পিড বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তা এখন অনেক ‘সহজলভ্য’। নেটপাড়ায় বাসিন্দাদের সংখ্যাও দিন দিন বেড়েই চলেছে। ফলে বন্ধুত্ব পাতানোর পরিসর ছেড়ে রাজনীতির পরিসরেও সোশ্যাল মিডিয়ার অবাধ আনাগোনা।

    আরজি করের ঘটনা নিয়ে নেট দুনিয়ায় বিস্তর চর্চা চলছে। বিরোধীদের বিরুদ্ধে সরাসরি অপপ্রচার চালানোর অভিযোগ তুলেছেন তৃণমূল নেতাদের একাংশ। ‘ভুয়ো তথ্য’ প্রসঙ্গে সচেতন করছে পুলিশও। এবার সত্য-মিথ্য়া, মুখ-মুখোশ বাছাই করার জন্য দলীয় নেতা-কর্মীদের সোশ্যাল মিডিয়ায় সক্রিয় হতে হবে, বুধবার রেড রোড থেকে বার্তা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।

    এ দিন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসের মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল নেত্রী। এই মঞ্চ থেকে দলীয় নেতাদের উদ্দেশে তাঁর প্রশ্ন, ‘কেন সোশ্যাল নেটওয়ার্ক করেন না? পার্টি যখন করছে আপনারাও করতে বাধ্য। সমস্ত বিধায়ক, সাংসদ, ছাত্র, যুব নেতাকে ফেক ভিডিয়োর কাউন্টার করতে হবে। পুলিশের কাছে এফআইআর করতে হবে। সাইবার ক্রাইম বিভাগে ই-মেল মারফত অভিযোগের ব্যবস্থা রয়েছে।’

    রাজনৈতিক মহলের একাংশের কথায়, আরজি করের ঘটনায় সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক তথ্যের প্রবাহ। তার মধ্যে আসল এবং ভেজাল আলাদা করা বেশ কঠিন হয়ে যাচ্ছে কিছু সময়। আর দলীয় নেতা-কর্মীদের সোশ্যাল প্রবাহ থেকে ‘ঝাড়াই-বাছাই’ করে খাঁটিটুকুই যাতে মানুষের কাছে পৌঁছে যায়, সেই দিকে নজর দেওয়ার বিষয়ে সতর্ক করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

    মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এ দিন আরও বলেন, 'আমি সোশ্যাল মিডিয়ার বিরুদ্ধে নই। কিন্তু, অনেক অপপ্রচার করা হয়। চক্রান্ত করা হয়। কুৎসা করা হয়। মিথ্যে কথা বলা হয়।' কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা (এআই)-এর অপব্যবহার নিয়েও সতর্ক করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
  • Link to this news (এই সময়)