• মহিলা পুলিস অফিসারের সঙ্গে বচসা, তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে এফআইআর
    বর্তমান | ২৯ আগস্ট ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, আরামবাগ: মহিলা পুলিস অফিসারের সঙ্গে তৃণমূল নেতার বচসা ঘিরে গোঘাটে ব্যাপক শোরগোল পড়ে। বুধবার সকালে বচসার একটি ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। যদিও তার সত্যতা যাচাই করেনি ‘বর্তমান’। ওই ঘটনার জেরে সংশ্লিষ্ট মহিলা পুলিস অফিসার গোঘাট থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তার ভিত্তিতে পুলিস নির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করেছে। আরামবাগের এসডিপিও সুপ্রভাত চক্রবর্তী বলেন, একটি ভিডিও আমরা পেয়েছি। তারসঙ্গে মহিলা পুলিস অফিসার অভিযোগ জানিয়েছেন। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। 

    উল্লেখ্য, বিজেপির ডাকা বন্ধের জেরে এদিন গোঘাটের কাঁঠালি এলাকায় বিজেপি রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায়। অবরোধ তুলতে পুলিস সেখানে যায়। তার কিছু সময়ের মধ্যেই মহিলা ওই পুলিস অফিসারের সঙ্গে বচসায় জড়ান তৃণমূল নেতা। ভাইরাল ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, গোঘাট-১ পঞ্চায়েত সমিতির বন ও ভূমি স্থায়ী সমিতির কর্মাধ্যক্ষ উল্লাসপুরের বাসিন্দা মইদুল ইসলাম ওরফে সঞ্জয় খান একটি বাইকে বসে রয়েছেন। পাশে গোঘাট থানার লেডি সাব ইন্সপেক্টর দাঁড়িয়ে কথা বলছেন। অবরোধ নিয়ে ওই মহিলা অফিসারের সঙ্গে তৃণমূল নেতা বচসায় জড়িয়ে পড়েন। চলে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়। অন্যান্য পুলিস কর্মীরা আসেন। স্থানীয় বাসিন্দারাও জড়ো হয়ে যান। তার কিছু সময় পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। এই ঘটনার পর গোঘাট থানায় মহিলা পুলিস অফিসার অভিযোগ দায়ের করেন। 

    ওই তৃণমূল নেতার অবশ্য দাবি, মহিলা পুলিস আধিকারিকের কাছে হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে তিনি ক্ষমা চেয়েছেন। একইসঙ্গে সামাজিক মাধ্যমেও ক্ষমা চেয়ে ভিডিও পোস্ট করেছেন। ওই তৃণমূল নেতা বলেন, এদিন কামারপুকুরে ছেলের ওষুধ কিনতে যাচ্ছিলাম। সেইসময় অবরোধে আটকে পড়ি। তাই উত্তেজিত হয়ে পড়েছিলাম। মহিলা পুলিস অফিসারের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা হয়। কিন্তু, আমি কোনও অশালীন ভাষা বা খারাপ ব্যবহার তাঁর সঙ্গে করিনি। যদিও ঘটনার পর আমি অনুতপ্ত। মহিলা অফিসারের কাছে ক্ষমা চেয়ে বার্তা পাঠিয়েছি। পুলিস যা ব্যবস্থা নেবে, তা আইনের পথেই বিচার পাব আশা রাখি
  • Link to this news (বর্তমান)