• পুজোর আগে ৫ লক্ষ স্কুল পড়ুয়ার হাতে তুলে দেওয়া হবে দুই সেট করে পোশাক
    বর্তমান | ২৯ আগস্ট ২০২৪
  • সংবাদদাতা, সিউড়ি: পুজোর আগেই জেলার প্রায় পাঁচ লক্ষাধিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা হাতে পাচ্ছে স্কুল পোশাক। ইতিমধ্যেই একটি করে সেট হাতে পেয়েছে পড়ুয়ারা। দ্বিতীয় সেটটিও পুজোর আগেই পেয়ে যাবে বলে আশাবাদী সংশ্লিষ্ট দপ্তরের আধিকারিকরা। প্রতিবছর রাজ্য সরকারের উদ্যোগে স্কুলের পড়ুয়াদের দু‌ই ঩সেট পোশাক দেওয়া হয়। 

    জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, এবছর জেলার প্রায় সাড়ে তিন হাজারেরও বেশি প্রাথমিক স্কুলের প্রায় পাঁচ লক্ষাধিক পড়ুয়াকে পোশাক দেওয়া হবে। স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা এই পোশাক তৈরি করছেন। স্কুল পোশাক তৈরির জন্য গ্রামীণ মহিলাদের মধ্যে টেলারিং স্কিল শেখার আগ্রহও বাড়ছে। সরকারি ট্রেনিংয়ের চাহিদা বেড়েছে জেলায়। জেলা ডিআরডিসি দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলার ১৬৭টি পঞ্চায়েতের সঙ্ঘের মাধ্যমে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা পড়ুয়াদের জন্য পোশাক তৈরি করেন। এর ফলে জেলার প্রায় ছ’হাজার স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলা উপকৃত হচ্ছেন। স্কুলের পোশাক তৈরির ক্ষেত্রে রাজ্যের অন্যান্য জেলার তুলনায় বীরভূম জেলার অগ্রগতি ভালো বলে আধিকারিকদের দাবি। দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকরা নিয়মিত প্রতিটি সঙ্ঘে গিয়ে সেখানে কাজের অগ্রগতি এবং পোশাকের গুণমান পরীক্ষা করছেন। আধিকারিকদের ধারণা, নির্দিষ্ট সময়ের আগেই পড়ুয়াদের হাতে পোশাক তুলে দেওয়া যাবে। 

    অন্যদিকে এই পোশাক তৈরি করতে গিয়ে সেলাইয়ের প্রতি আগ্রহ বাড়ছে গ্রামীণ মহিলাদের। সরকারি নির্দেশ অনুযায়ী গ্রামীণ এলাকায় যেসব মহিলা সেলাইয়ের কাজে পটু, তাঁদেরই কাজ দেওয়া হচ্ছে। স্বনির্ভর গোষ্ঠীর বিভিন্ন সঙ্ঘ সূত্রে জানা গিয়েছে, এই কাজ করতে করতে অনেক সঙ্ঘ সমবায় নিজেদের লভ্যাংশের টাকা দিয়ে বাড়তি আয়ের রাস্তা খুঁজে নিচ্ছেন। তাঁরা অত্যাধুনিক সেলাইয়ের মেশিন কিনে নিয়েছে। তাতে আগামী দিনে শুধু পড়ুয়াদের পোশাক নয়, অন্যান্য পোশাকও তৈরি করতে পারবেন। প্রতি বছর পোশাকের নিশ্চিত বরাদ্দ পাওয়ায় অনেক মহিলাই নতুন করে সেলাই শিখতে আগ্রহী হচ্ছেন।

    স্বনির্ভর দলের এক সদস্য রুবি মণ্ডল বলেন, আমরা প্রথমে কিছুটা সেলাই জানতাম। কিন্তু এত ভালোও জানতাম না। এখানে সকলের দেখে পোশাক তৈরি করা শিখেছি। তবে আমরা টেলারিংয়ের আরও কাজ শিখতে চাই। কারণ এই পোশাক বানানো শেষ হলে আমরা অন্যান্য পোশাক তৈরি করে বাজারে বিক্রি করতে পারব। তাতে আমাদের লাভের পরিমাণ আরও বাড়বে। 

    জেলা ডিআরডিসি দপ্তরের প্রোজেক্ট ডিরেক্টর আজমল হোসেন বলেন, পড়ুয়াদের দু’টি করে পোশাকের সেট দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেই মতো কাজ চলছে। এই জেলায় পোশাকের গুণগত মান সবসময় আমরা সতর্ক থাকি। তাই পোশাক নিয়ে কোনও অভাব-অভিযোগও আসে না। পুজোর আগে সকলে পোশাক হাতে পেয়ে যাবে।   
  • Link to this news (বর্তমান)