• সন্দীপ ঘোষকে সাসপেন্ড করল আইএমএ, বাতিল করা হল সদস্যপদও
    বর্তমান | ২৯ আগস্ট ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: আরজি কর কাণ্ডে এবার আরও বিপাকে আর জি কর হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। তাঁকে এবার সাসপেন্ড করল ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন বা আইএমএ। বাতিল করা হল সদস্যপদও। তাঁর বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই দুর্নীতি সহ গুচ্ছ গুচ্ছ অভিযোগ উঠে এসেছে। পাশাপাশি, নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে কথা বলার সময়ও প্রাক্তন অধ্যক্ষের মধ্যে সংবেদনশীলতার অভাব ছিল বলেও অভিযোগ। সূত্রের খবর, নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে কথা বলার পরই স্বতঃপ্রনোদিত হয়ে সন্দীপ ঘোষকে সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আইএমএ-এর নির্দেশিকায় উল্লেখ করা হয়েছে, তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনা সামনে আসার পরই স্বতঃপ্রণোদিত পদক্ষেপ করে আইএমএ। একটি কমিটিও গঠন করা হয়। যা ছিল ডাঃ আরভি অশোকানের নেতৃত্বাধীন। ওই কমিটির সদস্যরা নির্যাতিতার বাড়িতে যান। তাঁর মা-বাবার সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ কথাও বলেন। এরপরই এই কমিটির ধারণা হয় পুরো বিষয়টিতে সন্দীপ ঘোষের ভূমিকা একেবারেই সন্তোষজনক নয়। এমন নক্কারজনক এবং হৃদয়বিদারক ঘটনা সামাল দেওয়ার ক্ষেত্রে তাঁর সহানুভূতির যথেষ্ট অভাব ছিল বলেও কমিটির অনুমান। এছাড়াও সন্দীপের বিরুদ্ধে ভুরি ভুরি দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। পেশাকে কলঙ্কিত করার অভিযোগও উঠে আসে। শাস্তির দাবি তোলে একাধিক মহল। তাই শেষমেশ আজ, বুধবার তাঁকে সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্ত নেয় আইএমএ। সম্প্রতি তার সদস্যপদ বাতিল করে অর্থোপেডিক অ্যাসোসিয়েশনও।

    উল্লেখ্য, আরজি কর কাণ্ডের পর অধ্যক্ষ পদ থেকে ইস্তফা দেন সন্দীপ ঘোষ। এরপর আদালতের নির্দেশে মামলাটি সিবিআইয়ের হাতে হস্তান্তরিত হয়। সন্দীপের বিরুদ্ধে উঠে আসে ভুরি ভুরি দুর্নীতির অভিযোগ। তাঁকে তলব করে কেন্দ্রীয় সংস্থা। দফায় দফায় তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়। হাসপাতালের নথিপত্র চেয়ে পাঠানো হয়। এমনকি তাঁর মোবাইলও বাজেয়াপ্ত করা হয়। শেষে আদালতের সম্মতিতে তাঁর পলিগ্রাফ টেস্টও করা হয়। তাঁর পাশাপাশি ধর্ষণ ও খুনের মামলার মূল অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়কেও জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিস। সন্দীপের পাশাপাশি তাঁরও পলিগ্রাফ টেস্ট করা হয়েছে।
  • Link to this news (বর্তমান)