• একাই 'দেড়শো'! একটি রসগোল্লাই কামাল করে দিল বাঙালির পাত...
    ২৪ ঘন্টা | ২৯ আগস্ট ২০২৪
  • কমলাক্ষ ভট্টাচার্য: রসগোল্লার জয়যাত্রায় আরও একটি স্টেশন যোগ হল। কিংবা রসগোল্লার মুকুটে যোগ হল আর একটি পালক। কার রসগোল্লা? কে সি দাসের। জন্মাষ্টমী থেকেই এ তল্লাটের সবচেয়ে বড় এবং দামি রসগোল্লা পাওয়া যাচ্ছে সেখানে।

    কীরকম রসগোল্লা? 

    একটা রসগোল্লা একাই দশটি নর্মাল সাইজ রসগোল্লার সমান। দাম দেড়শো টাকা। বিখ্যাত এই প্রতিষ্ঠানের তরফে জানানো হয়েছে, এ রসগোল্লা কেমন। 'পুরোটাই পুষ্টিকর ছানায় তৈরি। স্টিম দিয়ে বানানো। এই রসগোল্লার রসও পাতলা। অন্যদের মতো হাত চটচট করে না। বিজ্ঞানসম্মত পদ্ধতিতে তৈরি।' বলছেন কেসি দাশের কর্ণধার ধীমান দাশ। 

    ১৮৬৮ সালে সর্বকালের সবচেয়ে বিখ্যাত এবং জনপ্রিয় মিষ্টি রসগোল্লা আবিষ্কার করেন নবীনচন্দ্র দাস। কে.সি. দাস তাঁর কনিষ্ঠ পুত্র সারদাচরণ দাসের পুত্র। তিনি রাজাবাজার বিজ্ঞান কলেজে তৎকালীন গবেষণা সহকারী ছিলেন নোবেলজয়ী স্যার সি.ভি. রমনের। কে.সি. দাস ১৯৩২ সালে সবচেয়ে লালিত মিষ্টান্নগুলির মধ্যে একটি-- রসমালাই আবিষ্কার করেছিলেন। সারদাচরণ দাস ১৯৩৫ সালে এসপ্ল্যানেড ইস্টে আইকনিক কেসি দাস দোকানটি উদ্বোধন করেন, যা মিষ্টিশিল্পে একটি নতুন সংস্কৃতি চালু করেছিল।

    কর্মচারীদের যথাযথ ইউনিফর্ম ছিল। গ্রাহকদের সঙ্গে ডিল করার জন্য ছিল আধুনিক পদ্ধতি। তিনিই প্রথম ব্যক্তি যিনি ১৯৩৫ সালে প্যাকিংয়ের ক্ষেত্রে কার্ডবোর্ডের তৈরি কেক বাক্সের প্রবর্তন করেছিলেন। ১২ এপ্রিল, ১৯৪৬ শুভ দিন হিসাবে চিহ্নিত যখন কে.সি. দাস কোম্পানি আইন ১৯১৩-এর অধীনে অন্তর্ভুক্ত হওয়া প্রথম ভারতীয় মিষ্টি উৎপাদনকারী সংস্থার স্বীকৃতি পায়। কে সি দাসই সম্ভবত প্রথম বাঙালি মিষ্টি কোম্পানি যারা পশ্চিমবঙ্গের সীমানা অতিক্রম করে। ১৯৭২ সালে বেঙ্গলুরুতে ইউনিট স্থাপন করে তারা। এর ফলে ভারতের দক্ষিণাঞ্চলে বাঙালি খাবার এবং সংস্কৃতি ছড়িয়ে পড়ে।

  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)