জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: নবান্ন অভিযানে গেরুয়া বসন পরা বৃদ্ধকে নিয়ে হই চই। পুলিসকে 'চুড়ি পরার' নিদান দিয়ে তীব্র সমালোচনার শিকার। আবার তাঁকে হাওড়া ব্রিজের উপর জলকামানের সামনেও তেরঙা হাতে অবিচল দাঁড়িয়ে থাকতেও দেখা যায়। স্বাভাবিকভাবেই এই বৃদ্ধ 'প্রতিবাদী'কে নিয়ে খোঁজ পড়ে যায়। কে তিনি? কী তাঁর আসল পরিচয়? সেইসঙ্গে পুলিসের দিকে তাকিয়ে করা তাঁর অঙ্গিভঙ্গি, বিশেষ করে 'চুড়ি পরা'র ইঙ্গিত দেওয়ায় সমালোচনার মুখে পড়েছেন তিনি।
জানা গিয়েছে তাঁর নাম বলরাম বোস। তিনি নিজেকে 'একজন সনাতনী, একজন শিবভক্ত' বলে দাবি করেছেন। এমনকি এও দাবি করেছেন যে, কোনও রাজনৈতিক দল এই আন্দোলনকে প্রভাবিত করুক, তিনি তা চান না। বিচার ছাড়া আর কিছু-ই চান না তিনি। কারণ তাঁর বাড়িতেও মহিলারা আছেন। একইসঙ্গে তাঁর আরও দাবি, একটি স্বৈরাচারী সিস্টেমে তিনি পুলিসকে দাসত্বের শৃঙ্খল থেকে মুক্ত হয়ে প্রতিবাদে আন্দোলনে সামিল হওয়ার জন্যই ওই অঙ্গভঙ্গি করেছিলেন।
সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে দেওয়া সাক্ষাত্কারে বলরাম বোস বলেন, "ছাত্ররা আন্দোলন ডেকেছিল। কিন্তু এও বলা হয়েছিল যে প্রতিটি পরিবার থেকে একজন করে এতে যোগদান করা উচিত। আমার বাড়িতেও মহিলা রয়েছে। তাই তাদের সুরক্ষার জন্যও আমাদের সচেতন থাকা উচিত। সমাজ যদি ভালো ও সুরক্ষিত থাকে, একমাত্র তাহলেই মহিলারা সম্মান পাবেন। যেখানে মহিলাদের কোনও সম্মান নেই, সেখানে ভগবানও থাকেন না। যখন এই বিক্ষোভে অংশ নিচ্ছিলাম, তখন আমাদের আওয়াজ নবান্ন পর্যন্ত পৌঁছানো উচিত বলে মনে করেছিলাম। এরজন্য যদি আমাকে মরতে হত, আমি মরেও যেতে পারতাম।"
এরপরই তিনি আরও বলেন, "আমি পুলিসকে ইশারা করছিলাম যে এই স্বৈরাচারী ব্যবস্থায় দাসত্ব থেকে মুক্ত হয়ে হাতকড়া ফেলে আমাদের মিছিলে যোগ দিন। অথবা এমন শক্তি দিয়ে জলকামান ব্যবহার করুন যাতে আমরা সবাই ভেসে যাই। আমি একজন সনাতনী, একজন শিবভক্ত। আমি চাই না কোনও রাজনৈতিক দল এই আন্দোলনকে প্রভাবিত করুক। বিচার ছাড়া আর কিছু-ই চাই না।" এই বলরাম বোসকে নিয়ে মুখ খুলেছেন বিজেপি নেতা অমিত মালব্যও। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, "জলকামানের মাঝে আইকনিক হাওড়া সেতুতে জাতীয় পতাকা হাতে দাঁড়িয়ে থাকা লোকটি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের চূড়ান্ত প্রতীক।"