গোবিন্দ রায়: আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকের হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে আন্দোলনের ঝাঁজ বাড়াচ্ছে বিজেপি। শ্যামবাজারের পর ধর্মতলার ওয়াই চ্যানেলে ধরনা কর্মসূচির ডাক দিয়েছে গেরুয়া শিবির। পুলিশের অনুমতি না মেলায় কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন তারা। তাতে অনুমতি দিলেন বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজ। তবে বেঁধে দেওয়া হয়েছে শর্ত।
আগামী ২৯ আগস্ট থেকে ৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ধর্মতলার ওয়াই চ্যানেলে বিজেপির ধরনা কর্মসূচির কথা ঘোষণা করেছিলেন রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তবে তাতে পুলিশি অনুমতি মেলেনি বলেই দাবি। পুলিশ অনুমতি না দিলে আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন সুকান্ত। সেই মতো হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয় গেরুয়া শিবির। বুধবার এই মামলার শুনানিতে বিজেপির ধরনায় অনুমতি দেন বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজ। তিনি জানান, একসঙ্গে মঞ্চে এক হাজারের বেশি লোক থাকতে পারবেন না।
উল্লেখ্য, গত ৮ আগস্ট, নাইট শিফট ছিল তরুণী চিকিৎসকের। পরদিন সেমিনার হলে দেহ উদ্ধার হয় তাঁর। অভিযোগ, ধর্ষণ করে খুন করা হয় তাঁকে। এই ঘটনার প্রতিবাদে ফুঁসছে গোটা দেশ। সুবিচারের সরব সকলেই। ঘটনার প্রতিবাদে শ্যামবাজার মেট্রো গেটের সামনে ধরনায় বসে বিজেপি। এর পর ধর্মতলার ওয়াই চ্যানেলে ধরনায় বসার সিদ্ধান্ত গেরুয়া শিবিরের। এদিকে, বুধবার বাংলায় বারো ঘণ্টার ধর্মঘটের ডাক দেয় বিজেপি। এদিনের ধর্মঘটে মিশ্র প্রভাব। বহু জায়গায় ট্রেন অবরোধ করেন গেরুয়া শিবিরের কর্মী-সমর্থকরা। কোথাও কোথাও আবার পথ অবরোধও হয়। বহু জায়গায় অশান্তিতেও জড়ান পদ্মশিবিরের নেতা-কর্মীরা।