সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এক গাল চাপ দাড়ি, জিম করা পেটানো চেহারা, শরীর ভর্তি ট্যাটু। এটাই জেন জেডের স্টাইল স্টেটমেন্ট। কিন্তু এই গড্ডলিকা প্রবাহ থেকে এতদিন দূরেই ছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বরাবর ক্লিন শেভ লুকেই দেখা গিয়েছে তাঁকে। কিন্তু ২৮ আগস্ট, তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠানে একেবারে অন্য ‘লুকে’ দেখা গেল অভিষেককে। যা নিয়ে শুরু হয়েছে চর্চা।
হালফিলের বিরাট কোহলি, ভিকি কৌশল, রণবীর কাপুর, শাহিদ কাপুর থেকে রণবীর সিং-দেশের তাবড় ‘সেলব্রিটি’দের স্টাইল স্টেটমেন্টের অন্যতম অঙ্গ এই গাল ভরা দাড়ি। যা আসলে চকোলেট এরার ট্রেন্ড বদলে মাচো যুগের শুরু। এবার কি তবে সেই ট্রেন্ডেই গা ভাসালেন ‘বং ক্রাশ’ অভিষেক? বুধবার মেয়ো রোডের মঞ্চে সাদা শার্ট, কালো ফরমাল ট্রাউজারে হাজির হয়েছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। তবে এদিন আর ক্লিন শেভড নন, বরং গালভর্তি চাপ দাড়িতে দেখা গেল তাঁকে। চোখে চশমাও ছিল না। কিন্তু হঠাৎ লুক বদল কেন?
এগারোয় রাজ্যের রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর থেকেই রাজনীতিতে ক্রমশ সক্রিয় হয়েছেন অভিষেক। তখন অবশ্য যুব তৃণমূলে ছিলেন তিনি। ছাত্র বা যুবর কর্মসূচিতে তাঁকে সাদা পাঞ্জাবিতে দেখা যেত। চেহারাও ছিল খানিক গোলগাল। এর পর ২০১৪ সালে সংসদীয় রাজনীতিতে প্রবেশ। ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ নির্বাচিত হন তিনি। তখনও কিন্তু চেহারায় বিশেষ বদল আসেনি। ২০১৬ সালের পর থেকে বদলের শুরু। কড়া ডায়েটে অতিরিক্ত মেদ ঝরিয়ে ফেলেন তৃণমূল সেনাপতি। স্লিম-ট্রিম, ক্লিন শেভড লুকে ক্রমশ ‘বং ক্রাশ’ হয়ে ওঠেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে চশমার ফ্রেমেও বদল এসেছে। কখনও আবার চশমা ছেড়ে লেন্স ব্যবহার করেছেন। পোশাকে অবশ্য় বিশেষ বদল দেখা যায়নি। কখনও নীল পাঞ্জাবি, কখনও বা সাদা-কালো টিশার্ট।
মাঝে যখন একটানা রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে প্রায় আড়াই মাস নব জোয়ার কর্মসূচি করেছেন, তখনও গালে হালকা দাড়ির আভাস দেখা গেলেও চাপদাড়ি রাখতে দেখা যায়নি অভিষেককে। বুধবার সেই পুরনো স্টাইল ভেঙে একগাল চাপদাড়ি নিয়ে নব রূপে হাজির হলেন অভিষেক। নয়া লুকে তিনি হিট, নাকি পুরনো চকোলেট লুকই ছিল ভালো, তা নিয়ে শুরু হয়েছে চর্চা। উত্তর দিতে পারেন তৃণমূল সেনাপতির ভক্ত ও সমর্থকরাই।