গৌতম ব্রহ্ম: বুধবার তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসের সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ধর্ষণের বিরুদ্ধে কঠিন আইন আনবে রাজ্য। সেই কথা বলার পরই কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই, সেই সংক্রান্ত বিল আনার ক্ষেত্রে অনুমোদন দিল রাজ্য মন্ত্রিসভা।
৩ সেপ্টেম্বর বিধানসভায় বিল পেশ করা হবে। ধর্ষণের মতো পাশবিক ঘটনার বিচারের জন্য সময়সীমা বেঁধে দিতে চায় রাজ্য। বিলের খসড়া তৈরির জন্যে কমিটি গঠন করা হয়েছে। সেই মোতাবেক কাজও শুরু করে দিয়েছেন মুখ্যসচিব ও আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক।
আগামী মাসের দুই ও তিন তারিখ বিধানসভার বিশেষ অধিবেশন বসতে চলেছে। সেই অধিবেশনের দ্বিতীয় দিনে বিল আনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিলের বিষয়বস্তু কী? রাজ্যে কোনও ধর্ষণ বা ধর্ষণ করে খুনের ঘটনা ঘটলে দোষীর দ্রুত চরমতম শাস্তির কথা থাকবে বিলে।
এই বিষয়ে মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বলেন, “সেপ্টেম্বরের ২ ও ৩ তারিখ বিশেষ অধিবেশন বসবে বিধানসভায়। ৩ তারিখ এই বিলটি বিধানসভায় পেশ করা হবে। আর জি করের ঘটনার পর মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন দ্রুত বিচার চায়। এখন কেসটা পুলিশের থেকে সিবিআইয়ের হাতে গিয়েছে। দেখা যাচ্ছে অনেক সময় লাগাচ্ছে সিবিআই। তাই মুখ্যমন্ত্রী এই বিল আনতে চাইছেন। যাতে কোনও মহিলার উপর অত্যাচার হলে যেন দোষীর দ্রুত সাজা হয়।” জানা গিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী চেয়েছেন যেন প্রত্যেকদল বিরোধীতা ভুলে এই বিলে সর্মথন দেয়।
আর জি কর কাণ্ড নিয়ে তোলপাড় বাংলা। সবমহল থেকে দোষীর শাস্তির দাবি উঠছে। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠান থেকে দোষীর ফাঁসির শাস্তির দাবিতে আরও একবার গর্জে ওঠেন মুখ্যমন্ত্রী। ১০ দিনের মধ্যে আর জি কর কাণ্ডে দোষীকে ফাঁসি দিতে হবে বলে দাবি তোলেন তিনি। এদিন ধর্ষণ বিরোধী আইন পাশের কথা জানিয়ে বলেন, “ধর্ষণের মামলায় দোষীর ফাঁসির বিল আনব বিধানসভায়।” আজ মন্ত্রিসভার বৈঠকে বিল আনার অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।