• ‘হঠাৎ ধেয়ে এল পাথর, চোখে সব অন্ধকার’, নবান্ন অভিযানের ভয়ংকর অভিজ্ঞতা শোনালেন সেই পুলিশকর্মী
    প্রতিদিন | ২৯ আগস্ট ২০২৪
  • সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নবান্ন অভিযানের সকালে ডিউটি চলাকালীন উড়ে আসা ইটে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে চোখ। বুধবার চোখে ব্যান্ডেজ নিয়েই ঘটনার ভয়ংকর অভিজ্ঞতা শোনালেন আক্রান্ত পুলিশকর্মী দেবাশিস চক্রবর্তী। হতাশাগ্রস্ত গলায় বললেন, “ভবিষ্যত কী জানি না, কে জানে এর পর কী হবে।” জানা গিয়েছে, দেবাশিষবাবুকে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হবে হায়দরাবাদে।

    আপাতত কলকাতার একটি বেসরকারি চোখের হাসপাতালে চিকিৎসাধীন দেবাশিস চক্রবর্তী। হাসপাতালের বিছানায় বসে এদিন দেবাশিসবাবু জানালেন ঠিক কী হয়েছিল ওই মুহূর্তে। বললেন, “আমি পূর্ব বিভাগের সাইবার সেলের ইনচার্জ। মঙ্গলবার নবান্ন অভিযানে ডিউটি ছিল। নির্দেশ মতো স্ট্র্যান্ড রোডের দিকে যাচ্ছিলাম। আচমকা উলটোদিক থেকে আসা গাড়িতে থাকা আন্দোলনকারীরা ইট ছুড়তে শুরু করে।” তিনি জানান, “প্রথম ইট লাগে গাড়ির কাচে। এর পরই সোজা আমার বা চোখে এসে লাগে ইট। অঝোরে রক্ত পড়তে শুরু করে। আচমকা সবটা অন্ধকার হয়ে গেল। সঙ্গে সঙ্গে আমাকে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। বাঁ চোখে দেখতে পাচ্ছি না।”

    উল্লেখ্য, মঙ্গলবার নবান্ন অভিযান ঘিরে কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছিল শহর-শহরতলির বিভিন্ন এলাকা। একাধিক এলাকায় পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে এগোনোর চেষ্টা করে আন্দোলনকারীরা। পালটা লাঠিচার্জ করে পুলিশ। ছোড়া হয় কাঁদানে গ্যাস, জলকামান। পালটা আক্রমণ করে আন্দোলনকারীরা। আক্রামণ-পালটা আক্রমণে জখম হন একাধিক পুলিশ কর্মী। বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৩৫-এর বেশি পুলিশ কর্মী। তাঁদের মধ্যে ২৬ জন ভর্তি এসএসকেএম হাসপাতালে।
  • Link to this news (প্রতিদিন)