• এসবগুলো থামুক, পুজোটা যাক, তারপর ছাত্র সংসদ নির্বাচন, ঘোষণা মমতার, কৌশলী অভিষেক
    হিন্দুস্তান টাইমস | ২৯ আগস্ট ২০২৪
  • কলেজগুলিতে দীর্ঘদিন ধরেই ছাত্র সংসদ নির্বাচন হচ্ছে না। বার বারই এই ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দাবি তোলা হয়েছে। কিন্তু এখনও সেই দাবি পূরণ করা যায়নি। তবে বুধবার ছিল টিএমসিপির প্রতিষ্ঠা দিবস। সেই উপলক্ষ্যে বক্তব্য রাখেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়। তবে মেয়ো রোডের এই সভা থেকে এই ছাত্র সংসদ নির্বাচন নিয়ে বিশেষ দিশা দেখালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। 

    বাংলার মুখ্য়মন্ত্রী বলেন, আমি মনে করি ছাত্র সংসদ নির্বাচন হওয়া দরকার। এখন তো সিস্টেম চেঞ্চ হয়েছে। আগে ছিল ফাস্ট ইয়ার। সেকেন্ড ইয়ার, থার্ড ইয়ার বা ইউনিভার্সিটির ফিফ্থ ইয়ার, সিক্সথ ইয়ার। এখন হয়ে গিয়েছে সেমেস্টার। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু এখানে আছেন। আমি বলব একটা টাইম টেবিল তৈরি করে… এসবগুলো থেমে যাক। পুজোটা হয়ে যাক। তারপর একটা সময় দেখে ছাত্র সংসদ নির্বাচনগুলো আস্তে আস্তে করিয়ে নেব। 

    আর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায় বলেন, আমি অনুরোধ করব আগামীদিনে ছাত্র সংসদ ভোট যখন হবে সেখানে ৫৫ শতাংশ আসনে যাতে মেয়েরা, আমাদের বোনেরা  লড়াই করার সুযোগ পান। সেই বিষয়টি যেন নিশ্চিত করা হয়। হোয়াট বেঙ্গল থিঙ্কস টুডে ইন্ডিয়া থিঙ্কস টুমরো। আমরা মেয়েদের, বোনেদের দিদিদের যাতে এই সুযোগ দিতে পারি তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। 

    কিন্তু প্রশ্ন উঠছে কেন দিনের পর দিন ধরে ছাত্র সংসদ নির্বাচনকে এভাবে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে? বছরের পর বছর ধরে ছাত্র সংসদ নেই কলেজে, বিশ্ববিদ্যালয়ে। ২০১৭ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় ও তার আওতায় থাকা কলেজগুলিতে ছাত্র সংসদ ভোট হয়েছিল। প্রেসিডেন্সিতে ২০২৯ সালে, যাদবপুরে ২০২০ সালে ছাত্র ভোট হয়েছিল। এদিকে বিরোধী ছাত্র সংগঠনগুলি বার বার দাবি করেছে ছাত্র সংসদ নির্বাচন করা হোক। কিন্তু নানা আপত্তির কথা তুলে বার বার এই ভোটকে পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। 

    তবে এবার শুধু ছাত্র সংসদ ভোটই নয়, সেই ভোটে যাতে ছাত্রীদের প্রতিনিধিত্ব ৫৫ শতাংশ থাকে সেটা নিশ্চিত করার কথা বলছেন অভিষেক। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের অত্যন্ত কৌশলে তাস খেলতে নেমে পড়েছে তৃণমূল। আরজি কর নিয়ে যখন গোটা দেশ উত্তাল, মুখ পুড়ছে সরকারের, সন্দীপ ঘোষকে কেন বছরের পর বছর ধরে আড়াল করা হচ্ছিল তা নিয়ে নানা প্রশ্ন। আর সেই ক্ষোভ থেকে নজর ঘোরাতেই কি ৫৫ শতাংশের টোপ? 
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)