• হলদিয়ায় পাইপ ফেটে ছড়িয়ে পড়ল পাম অয়েল, তেল নিতে হুড়োহুড়ি
    বর্তমান | ২৯ আগস্ট ২০২৪
  • সংবাদদাতা, হলদিয়া: বুধবার হলদিয়া বন্দর সংলগ্ন চিরঞ্জীবপুর থানা এলাকায় একটি ভোজ্যতেল কারখানার পাইপলাইন ফেটে ছড়িয়ে পড়ল অশোধিত পাম অয়েল। ওই অশোধিত পাম অয়েল হলদিয়া বন্দরের ডক থেকে পাইপলাইনের মাধ্যমে প্ল্যান্টে পাঠানো সময় এই ঘটনা ঘটে। ইন্দোনেশিয়া থেকে জাহাজে করে ওই ক্রুড অয়েল এসেছিল হলদিয়ায় পুলিস ও মহকুমা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন সকাল সাড়ে ৯টা নাগাদ ইমামি অ্যাগ্রোটেক ভোজ্যতেল কারখানার তেলের পাইপলাইনে লিকেজের ফলে পাম অয়েল ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে। নয়ানজুলিতে ছড়িয়ে পড়ে সেই তেল। তেল সংগ্রহ করার জন্য হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। পরে খবর পেয়ে ইমামি কারখানার লোকজন আসে ঘটনাস্থলে। কারখানা কর্তৃপক্ষ জানায়, খবর পেয়েই দ্রুত জাহাজ থেকে তেল পাঠানো বন্ধ করা হয়েছে। ওই পাইপলাইন মাটির উপর দিয়ে বন্দর থেকে প্ল্যান্টে গিয়েছে। মঙ্গলবার রাত থেকে জাহাজ থেকে তেল ডিসচার্জ করা শুরু হয়। এদিন সকালে হঠাৎ পাইপলাইনে প্রেশার কম হতেই বিষয়টি নজরে আসে। সাধারণত পাইপলাইনে হাওয়া ঢুকলে প্রেশার কমে যায়। কিন্তু এদিন দীর্ঘক্ষণ ধরে লাইনে তেলের প্রেশার কম হতেই সেন্সরের মাধ্যমে লিকেজের জায়গাটি চিহ্নিত করার চেষ্টা শুরু হয়। এরইমধ্যে কারখানা কর্তৃপক্ষের কাছে চিরঞ্জীবপুরে লিকেজের খবর আসে। স্থানীয়রা ছোট বড় নানা সাইজের জ্যারিকেন নিয়ে তেল সংগ্রহের জন্য হাজির হয়। নয়ানজুলি তখন তেলে ভেসে যাচ্ছে। ঘণ্টা দেড়েক পর তেলের লাইন বন্ধ করা হয়। ততক্ষণে কয়েক টন অপরিশোধিত তেল ছড়িয়ে পড়েছে। ইমামি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ৪০ টনের বেশি তেল ছড়িয়ে পড়েছে। এর আনুমানিক মূল্য প্রায় ৩০ লক্ষ টাকা। পাইপলাইনে মরচে পড়েই লিকেজ হয়েছে বলে প্রাথমিক অনুমান। এদিন সংস্থার ইঞ্জিনিয়ার ও মেন্টেনেন্স কর্মীরা গিয়ে লিকেজ সারাই করে। পরে বিকেল নাগাদ ফের পাইপলাইনে তেল পাঠানো স্বাভাবিক হয়েছে। তবে নয়ানজুলি থেকে সংগ্রহ করা ওই ক্রুড পাম অয়েল নিয়ে সতর্ক করেছেন বিশেষজ্ঞরা। শুধু লিকেজ নয়, প্রায়ই পাম অয়েল চুরির ঘটনাও ঘটে বলে পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে। ওই তেল কেনার একটি চক্র রয়েছে। ওই তেল ঠিকভাবে শোধন না করে ভোজ্য তেলের সঙ্গে মিশিয়ে কম দামে বাজারে বিক্রি করা হয় বলে অভিযোগ। -নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)