• ময়দানে নেই পদ্ম নেতারা শিল্পাঞ্চল  স্বাভাবিক
    বর্তমান | ২৯ আগস্ট ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, আসানসোল: নিজেদের ডাকা বন্‌ধেও আসানসোলে বিজেপি নেতা-কর্মীদের খুঁজেই পাওয়া গেল না। জিটি রোডের উপর বিএনআর মোড়, ভগৎ সিং মোড়, গির্জা মোড়, আসানসোল বাসস্ট্যান্ড কোথাও ময়দানে দেখা যায়নি বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের। স্বাভাবিক ছিল বাস পরিষেবা। ট্রেনে যাত্রীদের ভিড় উপচে পড়ে। শিল্পাঞ্চল স্বাভাবিক রাখতে ময়দানে নামেন শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটক। যদিও রানিগঞ্জ ও জামুড়িয়ায় জোর করে দোকানপাট বন্ধ করতে তৎপর হয় বিজেপি। পাল্টা রাস্তায় নামে তৃণমূল। দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষও হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে হিমশিম খায় পুলিস। এক এএসআই আক্রান্ত হন। 

    সাধারণত ধর্মঘটে আসানসোলের দুই প্রাণকেন্দ্র বাসস্ট্যান্ড ও বিএনআর মোড় অবরোধ করা হয়। তবে এদিন উল্টো চিত্র দেখা গেল। রাজ্যের প্রধান বিরোধী দলের ডাকা বন্‌঩ধে কোনও বিজেপি নেতা-কর্মীকে সকাল থেকে গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলিতে দেখা যায়নি। সকাল থেকে‌ই রাস্তায় বেরিয়ে পড়ে সাধারণ মানুষ। সরকারি ও বেসরকারি বাস চলাচল স্বাভাবিক ছিল বলে জানান আসানসোল বাস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক বিজন মুখোপাধ্যায়। এদিন বন্‌঩ধের বিরোধিতায় মিছিল করেন তৃণমূল নেতা রাজু আলুওয়ালিয়া সহ অনেকে। দুপুরে পাঁচজন বিজেপি কর্মী ভগৎসিং মোড় অবরোধ করেন। যদিও কিছুক্ষণের মধ্যেই পুলিস পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে। ট্রেন পরিষেবাও স্বাভাবিক ছিল। আসানসোল স্টেশনে আসা ট্রেনগুলিতে তিল ধারণের জায়গা ছিল না। এদিন ডিএসপি মেন মেটের সামনে কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে বসেন শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটক। তিনি বলেন, ডিএসপিতে ১০০শতাংশ, ‌ইস্কোয় ৯৮শতাংশ এবং সমগ্র রাজ্যে শিল্পক্ষেত্রে শ্রমিক উপস্থিতির হার ৯৫ শতাংশ। 

    এদিন হীরাপুর থানার ত্রিবেণী মোড়ে বন্‌঩ধের সমর্থনে রাস্তায় নামেন বিজেপির জেলা সভাপতি বাপ্পা চট্টোপাধ্যায়। পাল্টা রাস্তায় দেখা যায় বার্নপুর এলাকার তৃণমূল কাউন্সিলারদেরও। দু’পক্ষকেই নিয়ন্ত্রণ করে পুলিস। বিজেপি রাস্তায় বসে যান চলাচল বন্ধ করার চেষ্টা করে। পুলিস তাদের আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
  • Link to this news (বর্তমান)