• পুজোয় পদ্মের জোগান দিতে প্রস্তুতি চাষিদের
    বর্তমান | ২৯ আগস্ট ২০২৪
  • সংবাদদাতা, কালনা: এবার টানা ভারী বৃষ্টি ও প্রাকৃতিক দুর্যোগে পদ্মফুল চাষে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতি কাটিয়ে উঠে দুর্গাপুজোর জন্য পদ্মের জোগান দিতে জোরকদমে চাষে নেমে পরেছেন পদ্ম চাষিরা। কালনায় বেশ কয়েকটি জলাশয়ে পদ্ম চাষ চলছে। পদ্ম চাষ লাভজনক হওয়ায় চাষে আগ্রহ বাড়ছে। 

    দুর্গাপুজো সহ বিভিন্ন পুজোয় পদ্ম ফুল অপরিহার্য। শ্রাবণ মাস থেকে মূলত পদ্মের চাহিদা বাড়তে থাকে। এবার টানা বৃষ্টিতে জলাশয় ভরে যাওয়ায় পদ্ম চাষে ক্ষতি হয়েছে। এরপরই ঘুরে দাঁড়িয়ে দুর্গাপুজোর ফুলের জোগান দিতে নতুন করে চাষ শুরু করেছে চাষিরা। মাছচাষ না হওয়া খাল-বিল বা পুকুরে পদ্মচাষ হয়। যদিও এখন নিচু জমি দু’-আড়াই ফুট কেটে কৃত্রিম জলাশয় তৈরি করে চলছে পদ্মচাষ। বছরভর পদ্মের দাম কিছুটা কম থাকলেও শ্রাবণ মাসে মনসা পুজো থেকে দাম চড়তে থাকে। তবে ফুলের পাইকারি বাজারগুলিতে পদ্মের দৈনন্দিন জোগানের উপর দাম নির্ধারিত হয়। দুর্গাপুজো ও লক্ষ্মীপুজোয় ভালো দাম পান চাষিরা। ২০-২৫টাকা পিস দামেও বিক্রি হয়। 

    কালনা শহরতলির শাসপুর, রংপাড়া এলাকায় দু’টি জলাশয় লিজ নিয়ে পদ্মচাষ শুরু হয়েছে। পাঁচ থেকে দশ বিঘা জলাশয়ে চাষ হচ্ছে। এখন অনেক ফড়ে এই ব্যবসায় নেমে পড়েছেন। তাঁরা এইসব পদ্ম চাষের পুকুর থেকে সরাসরি কিছুটা হলেও কম দামে কিনে কলকাতার ফুলের পাইকারি বাজারে নিয়ে যান। একবার পদ্ম ফুল ফোটা শুরু হলে প্রায় প্রতিদিনই ফুল তুলতে হয়। তবে ফোটা ফুলের চেয়ে কুঁড়ির দাম বেশি থাকে। পুজোর আগে ফুল সংরক্ষণ করলে ভালো দাম পান চাষিরা। 

    পদ্ম চাষি ক্ষীতিশ বারুই বলেন, ক্ষতি না হলে পদ্ম চাষে ভালো লাভ রয়েছে। আগে রাতভর ফুল তুলে ভোরের আলো ফোটার আগেই বাজারে চলে যেতাম। অনেক পরিশ্রম হতো। এখন ফড়েরা ফোনে বুক করে। তারাই এসে নিয়ে যায়। এবার বৃষ্টিতে ভালো ক্ষতি হয়েছে। নতুন করে বীজ ফেলে চারা করে চাষ করতে হয়েছে। পুঁজি কম থাকায় বেশি চাষ করতে পারি না। সরকার অন্যান্য চাষে ক্ষতিপূরণ দেয়। ফুল চাষেও ক্ষতিপূরণ সহ আর্থিক সাহায্য করলে ভালো হয়। 

    কালনা মহকুমা কৃষি আধিকারিক পার্থ ঘোষ বলেন, দিনকে দিন ফুলের চাহিদা বাড়ছে। চাষিরাও এই চাষে ঝুঁকছেন। তবে এখনও পর্যন্ত ব্যাপকভাবে পদ্মচাষ হচ্ছে না। এখনও চাহিদার তুলনায় জোগান কম থাকায় দাম ভালো পাচ্ছেন চাষিরা। - নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)