• মিড ডে মিলে সেলিব্রেট করা যাবে বিবাহবার্ষিকী, জন্মদিন, ‘তিথিভোজন’ প্রকল্প চালু রাজ্যের
    বর্তমান | ২৯ আগস্ট ২০২৪
  • সুখেন্দু পাল, বর্ধমান: বিবাহবার্ষিকী বা জন্মদিনে অনেকের সাধ থাকে কচিকাঁচাদের খাওয়ানোর। ইচ্ছে থাকলে তা সব সময় পূরণ হয় না। একসঙ্গে বেশ কয়েকজন কচিকাঁচাকে জোগাড় করা তাঁদের পক্ষে সম্ভব হয় না। এবার থেকে সেই ইচ্ছা পূরণ করতে কোনও সমস্যা হবে না। যে কেউ বিশেষ দিনে স্কুলের ছেলেমেয়েদের খাওয়াতে পারবেন। তবে তারজন্য স্কুলের অনুমতি প্রয়োজন। মিড ডে মিলের খাবারে চিকেন, মাটন বা ইলিশ খাওয়াতে পারেন। তবে, ফাস্টফুড খাওয়ানো যাবে না। শিক্ষাদপ্তর থেকে এমনই গাইডলাইন দেওয়া হয়েছে। 

    জেলা এডুকেশন অফিসার পৌষালি চক্রবর্তী বলেন, এই কর্মসূচির নাম দেওয়া হয়েছে ‘তিথিভোজন’। অর্থাৎ যে কেউ তাঁদের জীবনের বিশেষ তিথিতে কচিকাঁচাদের খাওয়াতে পারেন। স্কুল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে তাঁরা খাওয়াতে পারেন। মেনুতে স্বাস্থ্যকর যে কোনও খাবার থাকতে পারে। কিন্তু ফাস্টফুড জাতীয় কিছু খাবার পাতে দেওয়া যাবে না। 

    পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের সভাধিপতি শ্যামাপ্রসন্ন লোহার বলেন, তিথি ভোজন কর্মসূচি সফল করতে অনেকেই এগিয়ে আসবেন বলে আমরা আশাবাদী। জেলার প্রতিটি স্কুলে মিড ডে মিল চালু রয়েছে। কোথাও সমস্যা থাকলে আমরা দ্রুত পদক্ষেপ নিই।

    এক আধিকারিক বলেন, মিড ডে মিলে বরাদ্দ কম। তাই পুষ্টিকর খাবার সবসময় দেওয়া সম্ভব হয় না। কেউ মিড ডে মিলে বিশেষ খাবার দিতে পারেন। এর পাশাপাশি পুষ্টিকর খাবার দেওয়ার জন্য স্কুলগুলিকে পুষ্টি বাগান তৈরিতে জোর দিতে বলা হয়েছে। প্রায় প্রতিটি স্কুলে ফাঁকা জায়গা রয়েছে। সেখানে বিভিন্ন ধরনের শাকসব্জি চাষ করা যেতে পারে। অনেক স্কুলে তা করছে। কয়েকটি স্কুলের উদ্যোগ প্রশংসনীয়। কিছু স্কুল শাক-সব্জি ছাড়াও বিভিন্ন ধরনের ফলের গাছ লাগিয়েছে। রায়নার একটি স্কুলে ড্রাগনফ্রুট চাষ হচ্ছে। 

    শিক্ষাদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, যেসব স্কুলে ছাত্রছাত্রী সংখ্যা বেশি সেখানে অসুবিধা নেই। ভালোভাবেই খাওয়ানো যায়। কিন্তু অনেক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়ুয়া সংখ্যা কম রয়েছে। সেসব স্কুল কর্তৃপক্ষ মিড ডে মিল চালাতে গিয়ে সমস্যায় পড়ছে। কেউ বিশেষ দিনে স্কুলে খাবারের আয়োজন করলে পড়ুয়ারা উপকৃত হবে। পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের শিক্ষা দপ্তরের কর্মাধ্যক্ষ শান্তনু কোনার বলেন, আগে জেলায় অনেক পড়ুয়া অপুষ্টিতে ভুগত। এখন সেই সংখ্যাটা অনেক কমেছে। জেলার বাসিন্দারা এগিয়ে এলে আরও কমে যাবে। তিথিভোজনে অনেকেই অংশগ্রহণ করবে বলে আশাবাদী। মিড ডে মিলের পাতে বিভিন্ন ধরনের খাবার দেওয়া হলে পড়ুয়ারাও খুশি হবে। প্রতিটি সরকার পোষিত স্কুলেই মিড ডে মিল চালু রয়েছে। নির্দিষ্ট রুটিন মেনে খাবার দেওয়া হয়। মাঝেমধ্যে একটু অন্যরকম খাবার দেওয়া হলে তাদের স্বাদ বদল হবে। প্রত্যন্ত গ্রামের স্কুলগুলিতে এধরনের উদ্যোগ বেশি নেওয়া হলে ভালো হয়।
  • Link to this news (বর্তমান)