• ছ’টি রাস্তা বেহাল গড়শিকা পঞ্চায়েতে, দুর্ভোগ বাসিন্দাদের
    বর্তমান | ২৯ আগস্ট ২০২৪
  • সংবাদদাতা, রঘুনাথপুর: সাঁতুড়ি ব্লকের আদিবাসী অধ্যুষিত গড়শিকা গ্রাম পঞ্চায়েতের ছ’টি গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা বেহাল। এলাকার বাসিন্দারা পড়েছেন ব্যাপক সমস্যায়। বর্ষায় রাস্তাগুলি চলাচলের অযোগ্য হয়ে উঠেছে। প্রায়দিনই ছোটবড় দুর্ঘটনা ঘটছে। দ্রুত রাস্তাগুলি সংস্কারের দাবি জানাচ্ছেন বাসিন্দারা। 

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গড়শিকা গ্রাম পঞ্চায়েতের সাঁতুড়ি থেকে কড়াডাঙা (বাঁকুড়া জেলার সীমানা) পর্যন্ত প্রায় ১০ কিমি পিচ রাস্তাটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই রাস্তা দিয়ে মনিহারা জোড়হিড়া, ছাতনা সহজেই যাওয়া যায়। বর্তমানে রাস্তাজুড়ে বড় বড় গর্ত। এছাড়া গড়শিকা থেকে (ভায়া পলাশপাহাড়ী) গোয়ালবাড়িয়া ৬ কিমি পিচ রাস্তাটিও বেহাল। এই রাস্তায়ও পিচ উঠে গিয়ে বড় বড় গর্ত হয়েছে। একইভাবে কুলাই হরিমন্দির থেকে কড়াডাঙা ৩ কিমি রাস্তাটি বেহাল। এটি গড়শিকা, কুলাই, বেড়িয়া প্রভৃতি গ্রামগুলির বাঁকুড়া যাওয়ার একমাত্র রাস্তা। অন্যদিকে কুলাই গ্রাম থেকে কেশরদহ ৩ কিমি গ্রামীণ রাস্তাটিরও হাল খারাপ। ধডাঙ্গা থেকে বড়সালোনি পর্যন্ত ৩ কিমি রাস্তা বেহাল। এছাড়া জিতরাইডি থেকে সীমাবড় পর্যন্ত ৫ কিমি রাস্তার হাল ভালো নয়। প্রতিটি রাস্তাই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। রাস্তাগুলি পুরুলিয়ার সাঁতুড়ি, কাশীপুর ব্লক ছাড়াও বাঁকুড়ার শালতোড়া, ছাতনা ব্লকের বাসিন্দাদের যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম। অথচ গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাগুলি ১০ বছরে বেশি সময় ধরে বেহাল হয়ে রয়েছে।

    এলাকার বাসিন্দা শিক্ষাকর্মী সুমন্ত কেওড়া বলেন, আগে প্রতিদিন সাঁতুড়ি - কড়াডাঙা সড়ক ধরে বিদ্যালয় যেতাম। রাস্তাটি খারাপ হওয়ায় বাধ্য হয়ে পাঁচ কিমি ঘুরপথে যাতায়াত করি।

    গ্রামের বাসিন্দা বিকাশ হাঁড়ি, নিখিল হাঁড়ি, দয়াময় দাস বলেন, পঞ্চায়েত এলাকার প্রতিটি রাস্তা বেহাল হয়ে পড়ে রয়েছে। প্রশাসনের সর্বস্তরে বার বার জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। বর্তমানে রাস্তাগুলি চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। সাঁতুড়ি পঞ্চায়েত সমিতির শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ নির্মল মান্ডি বলেন, রাস্তাগুলির বিষয়ে ব্লক ও জেলা প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। প্রতিটি রাস্তার সংস্কার ব্যয়সাপেক্ষ। প্রচুর অর্থের প্রয়োজন। জেলা পরিষদ ছাড়া রাস্তাগুলির কাজ করা সম্ভব নয়। সাঁতুড়ি ব্লকের বিডিও পার্থ দাস বলেন, রাস্তাগুলি করতে যে পরিমাণ অর্থের প্রয়োজন সমিতির তেমন অর্থ নেই। রাস্তাগুলির বিষয়ে জেলাকে জানানো হবে।
  • Link to this news (বর্তমান)