• চার দশকেও তৈরি হয়নি স্বাস্থ্যকেন্দ্র, বাড়ছে ক্ষোভ
    বর্তমান | ২৯ আগস্ট ২০২৪
  • সংবাদদাতা, মেখলিগঞ্জ: চার দশকেরও বেশি সময় ধরে জমি পড়ে রয়েছে। কিন্তু আজও সেখানে গড়ে ওঠেনি স্বাস্থ্যকেন্দ্র। ফলে সরকারি স্বাস্থ্য পরিষেবা থেকে বঞ্চিত প্রায় এক লক্ষ মানুষ। এই পরিস্থিতিতে গ্রামবাসীদের দান করা জমিতে স্বাস্থ্যকেন্দ্র নির্মাণের দাবিতে সোচ্চার হয়েছেন এলাকার বাসিন্দারা। কোচবিহার জেলার মেখলিগঞ্জ ব্লকের উছলপুকুরি গ্রাম পঞ্চায়েতের চড়চড়াবাড়িতে স্বাস্থ্যকেন্দ্র গড়ার জন্য ১৯৮১ সালে মোট ১২ বিঘা জমি সরকারকে দান করেছিলেন স্থানীয়রা। কিন্তু এখনও তা তৈরি না হওয়ায় ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। তবে জেলা স্বাস্থ্যদপ্তর জানিয়েছে, স্বাস্থ্যভবনে লিখিত প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। এই বিষয়ে স্বাস্থ্যদপ্তরই চূড়ান্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। 

    স্থানীয় বাসিন্দা কার্তিক বর্মন, নারায়ণ বর্মন প্রমুখ বলেন, ১৯৮১ সালে উছলপুকুরিতে অজানা রোগে বেশকিছু বাসিন্দার মৃত্যু হয়েছিল। ঘটনার পরেই স্বাস্থ্যকেন্দ্র তৈরির জন্য এলাকাবাসীরা ১২ বিঘা জমি সরকারকে দান করেন। তৎকালীন বামফ্রন্ট সরকারের কাছে বারবার আর্জি জানিয়েও বাসিন্দাদের প্রত্যাশা পূরণ হয়নি। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ২০১১ সালে রাজ্যে পালাবদলের পরেও স্বাস্থ্যকেন্দ্র তৈরির জন্য নতুন করে সরব হন তাঁরা। এরপর ২০১৪ সালের ১৭ জুন স্বাস্থ্যকর্তারা সরেজমিনে পরিত্যক্ত জমি পরিদর্শন করেন। এরপরও কিছু হয়নি। বছরের পর বছর ধরে পতিত থাকার কারণে ওই জমির কোথাও গড়ে উঠেছে বসতি, কোথাও বা দোকানপাট, আবার কোথাও হচ্ছে চাষাবাদ। কিছু এলাকা ছেয়ে গিয়েছে জঙ্গলে। 

    মেখলিগঞ্জ ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক (বিএমওএইচ) অম্বুজকুমার ঠাকুর বলেন, উছলপুকুরিতে প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র নির্মাণের জন্য কোচবিহার জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের তরফে স্বাস্থ্যভবনে লিখিত প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। এই বিষয়ে স্বাস্থ্যদপ্তরই চূড়ান্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। 

    মেখলিগঞ্জের বিধায়ক পরেশচন্দ্র অধিকারী বলেন, দীর্ঘদিন ধরে পড়ে থাকা ওই জমিতে স্বাস্থ্যকেন্দ্র তৈরির জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে লিখিত আবেদনপত্র পাঠিয়েছিলেন গ্রামবাসীরা। সেই চিঠির প্রেক্ষিতে এই বিষয়ে উদ্যোগ গ্রহণের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর সচিবালয় থেকে চিঠি যায় স্বাস্থ্যভবনে। তারপর স্বাস্থ্যভবন থেকে বিষয়টি জানানো হয় কোচবিহার জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিককে। বিষয়টি বর্তমানে কী অবস্থায় রয়েছে খোঁজ নিয়ে দেখব।
  • Link to this news (বর্তমান)