• জলপাইগুড়ি মেডিক্যালে কাজে ফিরলেন আন্দোলনরত ডাক্তাররা, স্বস্তি রোগীদের
    বর্তমান | ২৯ আগস্ট ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, জলপাইগুড়ি: অবশেষে কাজে ফিরলেন জলপাইগুড়ি মেডিক্যালের আন্দোলনরত চিকিৎসকরা। ফলে হাসি ফুটল রোগীদের মুখে। আর জি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে মেডিক্যালের সিনিয়র রেসিডেন্ট, হাউস স্টাফ, পিজিটি’রা আন্দোলনে নামেন। সবমিলিয়ে তাঁদের সংখ্যা ছিল প্রায় ৮৫ জন। ওই চিকিৎসকরা সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন, শুধুমাত্র ইমার্জেন্সি ছাড়া কোনও পরিষেবা দেবেন না তাঁরা। ফলে জলপাইগুড়ি মেডিক্যালে আউটডোর পরিষেবায় মারাত্মক প্রভাব পড়তে থাকে। সিনিয়র ডাক্তারদের আউটডোর ও ইন্ডোর সামলাতে গিয়ে হিমশিম অবস্থা হয়। ফলে বেশিরভাগ দিনই দেখা যাচ্ছিল, সময়ে আউটডোর খুলছে না। কিংবা আউটডোর খুললেও দেখা নেই চিকিৎসকের। এনিয়ে রোগীদের মধ্যেও অসন্তোষ তৈরি হচ্ছিল।

    জলপাইগুড়ি মেডিক্যালে এসে অনেকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করেও আউটডোরে ডাক্তার দেখাতে না পেরে হতাশ হয়ে ফিরে গিয়েছেন। কারও আবার কোল্ড ওটি’র তারিখ থাকলেও তা পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে রোগীদের ভর্তি না রেখে ছুটি দিয়ে দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ ওঠে। সবমিলিয়ে জলপাইগুড়ি মেডিক্যালের চিকিৎসা পরিষেবায় মারাত্মক প্রভাব পড়ে।

    বুধবার মেডিক্যালের সুপার ডাঃ কল্যাণ খাঁ বলেন, আর জি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে আমাদের মেডিক্যালের যেসব সিনিয়র রেসিডেন্ট, হাউস স্টাফ, পিজিটি’রা নন ইমার্জেন্সি পরিষেবা থেকে নিজেদের সরিয়ে রেখেছিলেন, তাঁরা বুধবার থেকে কাজে ফিরেছেন। ফলে রোগীদের পরিষেবা দিতে আর কোনও সমস্যা হবে না। সুপারের দাবি, আন্দোলনরত চিকিৎসকরা কাজে ফিরতেই এদিন ইন্ডোর, আউটডোর সর্বত্রই খুব ভালোভাবে পরিষেবা দেওয়া গিয়েছে। তবে রোগীর সংখ্যা তুলনামূলক কম ছিল। বেশকিছু অপারেশনও হয়েছে। আন্দোলনে শামিল হয়ে ডাক্তারি পড়ুয়ারাও ক্লাসে আসছিলেন না। তাঁরাও ক্লাস করছেন।

    এদিন বেলা সাড়ে বারোটা নাগাদ জলপাইগুড়ি মেডিক্যালের সদর হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায় গাইনি, শিশু, ইএনটি, জেনারেল ওপিডি, ডেন্টাল সমস্ত বিভাগেই চিকিৎসক রয়েছেন। কোথাও সিনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে রয়েছেন হাউস স্টাফ। কোথাও আবার আউটডোর সামলাচ্ছেন পিজিটি’রা।

    বেরুবাড়ি থেকে গাইনি বিভাগের আউটডোরে দেখাতে এসেছিলেন ঊষা রায়। বললেন, ‘একটি রাজনৈতিক দল বন্‌ধ ডেকেছে। ফলে ভাবছিলাম, হাসপাতালে এসে ডাক্তারের দেখা পাব কি না। কিন্তু আমার টিউমার অপারেশন হয়েছে। এদিন ডাক্তার দেখানোর তারিখ ছিল। বাসের ভরসায় না থেকে টোটো রিজার্ভ করেই হাসপাতালে আসি। ডাক্তার দেখাতে পেরেছি। বরং ভিড় কম থাকায় আউটডোরে অনেকটা সময় দিয়ে চিকিৎসকরা রোগী দেখছেন এদিন। সরকারি পরিষেবায় আমি খুশি।’ সুপার বলেন, এদিন আমি ১১টা থেকে সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ছিলাম। কোথাও পরিষেবা ব্যাহত হয়নি। ( জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালের আউটডোর। - নিজস্ব চিত্র।)
  • Link to this news (বর্তমান)