• বিলাইমারির খাসমহলে ফের ভাঙন, তলিয়ে গেল কিছু বাড়ি
    বর্তমান | ২৯ আগস্ট ২০২৪
  • সংবাদদাতা, হরিশ্চন্দ্রপুর: মালদহের রতুয়া-১ ব্লকের বিলাইমারি ও মহানন্দটোলা অঞ্চলের বিস্তীর্ণ এলাকায় ভাঙন অব্যাহত। গঙ্গা ও ফুলহর নদীর ভাঙনের কবলে পড়ে ভিটামাটি হারা ব্লকের বহু মানুষ। বুধবার আবার বিলাইমারি অঞ্চলের খাসমহলে ভাঙন শুরু হয়েছে। এলাকার বেশকিছু বাড়িঘর এদিন নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। 

    কোশি ও ফুলহর নদীর সংযোগস্থলে আগেই ভাঙন শুরু হয়েছিল। কোশি নদীর ভাঙনের ফলেই খাসমহলে এদিন বাড়িঘর তলিয়ে গিয়েছে। পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে সেচদপ্তর। স্থানীয় বাসিন্দারা ভাঙন রোধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন। 

    সেচদপ্তর জানিয়েছে, বর্তমানে গঙ্গা নদীর জলস্তর বৃদ্ধি পেয়েছে। গঙ্গা বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে। সেই সঙ্গে ফুলহর নদীও বিপদসীমা ছুঁইছুঁই করছে। গঙ্গা (মানিকচক ঘাটে) নদীর জলস্তর ২৫.১৭  মিটার, যেখানে বিপদসীমা হচ্ছে ২৪.৬৯ মিটার। ফুলহর (তেলজান্না) নদীর জলস্তর বর্তমানে ২৬.৮৫ মিটার, যেখানে বিপদসীমা ২৭.৪৩ মিটার। দুই নদীরই জলস্তর এদিন বৃদ্ধি পেয়েছে। 

    স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, প্রতিবছর এই এলাকায় ভাঙন হচ্ছে। কিন্তু ভাঙন রোধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। ভাঙন রোধে আগে থেকেই ব্যবস্থা না নিলে এভাবে এলাকা নদী গর্ভে তলিয়ে যাবে। এদিন খাসমহলে নতুন করে ভাঙন শুরু হয়েছে। বহু মানুষের ভিটেমাটি নদীতে বিলীন। তাঁরা  খাসমহল বাঁধে আশ্রয় নিয়েছেন। মহানন্দা এমব্যাঙ্কমেন্ট ডিভিশনের নির্বাহী বাস্তুকার শুভঙ্কর গুড়িয়া বলেন, এদিন খাসমহলে কোশি নদীর প্রভাবে ভাঙন হয়েছে। সেচ দপ্তর এই এলাকায় ভাঙন রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করছে। পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে সেচদপ্তর ও প্রশাসন।
  • Link to this news (বর্তমান)