• বালুরঘাটে পরপর শ্লীলতাহানির ঘটনায় বাড়তি পুলিসের ভাবনা
    বর্তমান | ২৯ আগস্ট ২০২৪
  • সংবাদদাতা, পতিরাম: শহরের গলিপথে দাঁড়িয়ে থাকে রোমিওরা। নির্জন  রাস্তার মেয়েদের দেখলেই ছুড়ে দিচ্ছে কটূক্তি। এমনকী কোনও পড়ুয়াকে একা পেলে শ্লীলতাহানির ঘটনাও ঘটছে। গত সপ্তাহে বালুরঘাট শহরের রবীন্দ্রনগরে বিএড কলেজ ছাত্রীর পথ আটকে শ্লীলতাহানি করে এক যুবক। গত মঙ্গলবার শহরের আদর্শ স্কুলের পাশের গলিতে আদিবাসী কলেজ ছাত্রীর শ্লীলতাহানির ঘটনায় ধরা পড়েছে অভিযুক্ত যুবক। 

    বারবার এমন ঘটনায় গলিপথ ধরে যাওয়ার সময় আতঙ্কে থাকতে হচ্ছে মেয়েদের। আর জি করের ঘটনার পর শহরে নিরাপত্তা কয়েকগুণ বাড়িয়েছে পুলিস। টানা টহল দিচ্ছে উইনার্স বাহিনী। তারপরেও নিশ্চিন্ত হতে পারছেন না মহিলারা।  বালুরঘাট সদর ডিএসপি বিক্রম প্রসাদ বলেন, মঙ্গলবারের শ্লীলতাহানির ঘটনায় অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। উইনার্স টিম নামিয়ে এলাকার নিরাপত্তা বজায় রাখা হচ্ছে। অভিযোগ পেলেই দ্রুত অ্যাকশন নিচ্ছি আমরা। ওই জায়গাগুলিতে আরও পুলিস মোতায়েন করা হবে। বালুরঘাট শহরে বাসস্ট্যান্ড থেকে কলেজে আসার একাধিক গলিপথ রয়েছে। ওই পথগুলি দিয়ে সকাল ও দুপুরের দিকে খুব বেশি মানুষ যাতায়াত করেন না। বালুরঘাট কলেজ সহ স্কুলের মেয়েরা শর্টকাটের জন্য গলিপথ দিয়ে যাতায়াত করে। অভিযোগ, সেখানে ঘুরে বেড়ায় নেশাগ্রস্তরা। এমনকী সন্ধ্যাতেও শহরের আত্রেয়ী বাঁধ ও পার্কের দিকে অনেক জায়গায় তাদের আড্ডা চলে। অভিযোগ, সেখানে মেয়েদের কটুক্তি করা হয়। ফলে শহরের মূল রাস্তাগুলি নিরাপদ হলেও গলিপথ নিয়ে আতঙ্ক বাড়ছে শহরবাসীর। একজন কলেজ ছাত্রী বলেন, পুলিস নিরাপত্তা বাড়ালেও কিছু বিকৃতমনস্ক দুষ্কর্ম করতে ভয় পাচ্ছে না। শহরের গলিপথে একা যেতে এখন খুব ভয় লাগে। আরও পুলিসকর্মী মোতায়েন করা প্রয়োজন। মেয়েদের পড়তে পাঠিয়ে দুশ্চিন্তায় থাকছেন অভিভাবকরাও। স্বপ্না দাস বলেন, মেয়ে টিউশন থেকে একাই সন্ধ্যায় বাড়ি ফিরত। পরপর শ্লীলতাহানির ঘটনার পর সঙ্গে নিয়ে আসছি। ওই পথগুলিতে আরও পুলিস দিলে আমাদের ভয় কিছুটা কাটবে। এদিকে বালুরঘাটে নারী নিরাপত্তা নিয়ে আন্দোলনে নেমেছে বামেদের নিখিলবঙ্গ মহিলা সংঘের সদস্যরা। সংগঠনের জেলা নেত্রী গীতা কুণ্ডু বলেন, পর্যাপ্ত নিরাপত্তার দাবিতে থানায় ডেপুটেশন দিয়েছি। সুনিশ্চিত না হলে ফের আন্দোলনে নামব। 
  • Link to this news (বর্তমান)