চাঁচল সদরে ঘরে বসে থাকলেন বিজেপি নেতা কর্মীরা, ব্যর্থতার দায় চাপালেন নেতৃত্বের উপর
বর্তমান | ২৯ আগস্ট ২০২৪
সংবাদদাতা, চাঁচল: বন্ধ সফল করতে মরিয়া হয়ে রাস্তায় বসে পড়লেন দলের সাংসদ। তারপর হাজার চেষ্টা করে চাঁচল সদরে বিজেপি মাঠে নামাতে পারল না দলের কর্মীদের। একইসঙ্গে আন্দোলন ঘিরে বেআব্রু হয়ে গেল সংগঠনের বেহাল অবস্থা।
নেতা, কর্মীদের এমন ‘গাছাড়া’ মনোভাব দেখে নড়েচড়ে বসেছে নেতৃত্ব। বিজেপির একাংশ স্থানীয় কর্মী আঙুল তুলেছেন নেতৃত্বের দিকে। চাঁচল গ্রাম পঞ্চায়েতে বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্যা প্রিয়াঙ্কা হালদারের স্বামী তথা দলের চাঁচল বিধানসভার কো কনভেনার সুমিত সরকার বলেন, চাঁচল গ্রাম পঞ্চায়েতে দলের চারজন সদস্য রয়েছেন। অনেকেই বন্ধ সফল করতে বের হননি বলে শুনেছি। নেতৃত্বের পরিকল্পনা অভাবের জন্যই এমন অবস্থা। তবে আমরা কয়েকজন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলিতে পতাকা ঝুলিয়েছি। চাঁচল সদর এলাকা বিজেপির শক্ত ঘাঁটি বলেই পরিচিত। গত লোকসভা নির্বাচনে সেখানে পাঁচ হাজার ভোট লিড দিয়েছিল গেরুয়া পার্টি। ভোট থাকলেও লোকসভার পর সাংগঠনিক দুর্বলতা বেড়েছে বলে মনে করছেন দলের একাংশ।
এক সময় আন্দোলন আর প্রতিবাদ করতে কথায় কথায় রাস্তায় নেমে পড়তেন চাঁচল গ্রাম পঞ্চায়েতের বিজেপির সদস্য প্রসেনজিৎ শর্মা। এদিন ময়দানে তাঁর টিকি দেখা যায়নি। যেভাবে জেলায় দল চলছে, তা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তিনি। প্রসেনজিত্ বলেন, আমার ক্ষোভ রয়েছে বলে সংগঠন থেকে দূরত্ব বজায় রেখেছি।
বন্ধের দিন নেতা, কর্মীদের উল্টোপথে হাঁটা প্রসঙ্গে উত্তর মালদহের সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সভাপতি উজ্জ্বল দত্ত আবার পুলিসের কড়াকড়ির দিকে আঙুল তুলেছেন। তাঁর মন্তব্য, চাঁচলে আমাদের কর্মীরা পথে নামতে গেলে পুলিস বাধা গিয়েছে। সেজন্য অন্য এলাকার মতো সক্রিয়তা দেখাতে পারিনি। হয়তো পরিকল্পনাতেও খামতি ছিল। বিজেপিকে বেকায়দায় পেয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি চাঁচল ১ ব্লক আইএনটিটিইউসি সভাপতি অমিতেষ পাণ্ডে। তাঁর কথায়, চাঁচল বিজেপি সোশ্যাল মিডিয়াতেই প্রতিবাদ করতে জানে। আমরা রাস্তায় নেমে মানুষকে দুর্ভোগ থেকে বাঁচিয়েছি। সবকিছুই স্বাভাবিক ছিল চাঁচলে।
বনধ ব্যর্থ করতে সকাল থেকে দল বেঁধে এলাকা পরিক্রমা করে তৃণমূল নেতৃত্ব। দলে ছিলেন জেলা পরিষদের সহকারী সভাধিপতি রফিকুল হোসেন, চাঁচল ১ ব্লক তৃণমূল সভাপতি শেখ আফসার আলিরা। ফলে স্কুল,কলেজ, হাট বাজার ও যান চলাচল স্বাভাবিক ছিল এদিন। বুধবার চাঁচল সাপ্তাহিক হাটে ব্যবসায়ী ও খদ্দেরদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো।