সংবাদদাতা, উলুবেড়িয়া: দু’-একটি বিক্ষিপ্ত ঘটনা ছাড়া বুধবার বিজেপির ডাকা ১২ ঘন্টার বাংলা বন্ধে বড় কোনও অশান্তির ঘটনা ঘটেনি হাওড়া গ্রামীণ এলাকায়। এদিন উলুবেড়িয়া, আমতা ও শ্যামপুরে রাস্তা অবরোধ, বাগনান ও ফুলেশ্বর ষ্টেশনে রেল অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান বিজেপি কর্মী সমর্থকরা। এর বাইরে জনজীবন স্বাভাবিক ছিল দিনভর। সকালে প্রায় সব জায়গায় দোকান, বাজারহাট খোলা ছিল। স্কুল, কলেজ, অফিস, আদালত ও হাসপাতালে কর্মীদের উপস্থিতির হারও ছিল স্বাভাবিক। উলুবেড়িয়া শুড়িখালি লেবুতলার কাছে টিএমসিপির বাসে হামলার অভিযোগ উঠেছে বিজেপি কর্মীদের বিরুদ্ধে।
এদিন সকালে বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা প্রথমে মনসাতলায় ১৬ নং জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন। কয়েক মিনিট বিক্ষোভ চলার পর তাঁরা দক্ষিণ-পূর্ব রেলের হাওড়া-খড়গপুর শাখার ফুলেশ্বর ষ্টেশনে রেল অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। প্রায় আধঘন্টা ধরে চলা অবরোধ উঠে যায় পুলিসের হস্তক্ষেপে। বাগনান ষ্টেশনেও রেল অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। তবে এদিন জাতীয় সড়কে অন্যান্য দিনের তুলনায় বাস কম ছিল। ফলে যাত্রীদের দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে।
বুধবার উলুবেড়িয়া শুড়িখালি লেবুতলার কাছে জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিজেপির বিক্ষোভ চলাকালীন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের বাসে হামলার অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন বেলা ১১টা নাগাদ লেবুতলার কাছে বিজেপির অবরোধ চলার সময় সার্ভিস রোড দিয়ে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের কমীদের নিয়ে একটি বাস কলকাতার দিকে যাচ্ছিল। বাসটি ঘাটাল থেকে এসেছিল। অভিযোগ, সেই সময় বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা সেই বাসে হামলা চালায়। মারধরও করা হয় কয়েকজন টিএমসিপি সমর্থককে। ঘটনায় দোষীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের কর্মী-সমর্থকরা বেলতলার কাছে জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন। হাওড়া (গ্রামীণ) জেলার অতিরিক্ত পুলিস সুপার জর্জ এ্যালেন জন, উলুবেড়িয়ার এসডিপিও নিরুপম ঘোষ চলে আসেন বিশাল পুলিস বাহিনী নিয়ে। নামানো হয় র্যাফ। পুলিস দোষীদের গ্রেপ্তারের আশ্বাস দিলে অবরোধ উঠে যায়। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের দাবি, বিজেপি কর্মীরা তাদের দু’টি বাস ভাঙচুর করেছে। ঘটনায় তাদের দু’জন কর্মী জখম হয়েছেন। অভিযোগ অস্বীকার করেছে বিজেপি। বিজেপির হাওড়া (গ্রামীণ) জেলার সহসভাপতি রমেশ সাধুখাঁ দাবি করেন, ‘বাসে করে যাওয়ার সময় টিএমসিপির ওই বাস থেকে কুৎসিত অঙ্গভঙ্গি করা হচ্ছিল। আমাদের দলের কর্মীরা প্রতিবাদ করেছিলেন। এর বেশি কিছু নয়।’ পুলিস সুপার স্বাতী ভাঙ্গালিয়া জানান, লেবুতলার ঘটনায় এখনও কোনও অভিযোগ জমা পড়েনি। অভিযোগ হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।