নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: সকাল থেকে বুকে প্রবল ব্যথা ভাইয়ের। খিদিরপুর থেকে অ্যাপ ক্যাব বুক করে সতীশ কুমার ভাইকে নিয়ে এলেন এসএসকেএমের কার্ডিওলজি বিভাগে। সেখানে নিয়ে আসার পর অদ্ভুত অভিজ্ঞতার সাক্ষী হতে হল তাঁদের। সতীশ বললেন, ‘ডাক্তার নেই। তাই হাসপাতালের কর্মীরা কবে ছুটি নেবেন, তা নিয়েই শুধু আলোচনা করে গেলেন।’ সতীশবাবু জানান, কোনও কথাতেই কান দিচ্ছিলেন না তাঁরা। তবে দাদার চিকিত্সা করাতেই হবে বলে বচসায় জড়াননি তিনি। প্রায় হাতে পায়ে ধরার মতো অনুরোধ করে কাজ উদ্ধারের চেষ্টা করেন।
তারপর জরুরি বিভাগের সামনে দাদাকে নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন। ক্ষোভ চাপা দিতে পারেননি। বললেন, ‘প্রায় আধ ঘণ্টা ওখানে রোগীকে নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকলাম। শুধু ডাক্তারকে ফোন করছে। আর গল্প করে চলেছে। কে কবে ছুটি নেবে। ছুটি নিয়ে কী করবে, সেইসব নিয়ে শুধু কথা তাঁদের। একজন অসুস্থ মানুষকে নিয়ে এসেছি। তাঁর বুকে ব্যথা করছে। কিছু ওষুধ তো দেবে সুস্থ করতে। সেটুকুও করলেন না ওঁরা। কে কবে ছুটি নেবেন তা নিয়েই ব্যস্ত। অদ্ভুত।’ প্রায় দিশাহারা হয়ে কার্ডিওলজি থেকে আবার জরুরি বিভাগে নিয়ে এলেন রোগীকে। হাতে প্রেসক্রিপশন আর ইসিজি রিপোর্ট। এবার বললেন, ‘আমাকে এখন বেসরকারি কোথাও নিয়ে গিয়ে দেখাতে হবে।’ এই ভোগান্তির জন্য কর্মবিরতি আন্দোলনকেই দায়ি করছেন সতীশবাবু। বললেন, ‘ওই মহিলা চিকিত্সকের সঙ্গে যা হয়েছে তা কোনওভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। আমরা চিকিত্সকদের পাশে আছি। কিন্তু আমরা যখন হাসপাতালে এলাম, তখন চিকিত্সকরাই আমাদের পাশে থাকলেন না।’