• শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের পক্ষে সওয়াল করলেন আহত পুলিস কর্মীর মা
    বর্তমান | ২৯ আগস্ট ২০২৪
  • সংবাদদাতা, উলুবেড়িয়া: সোমবার সকালে ছেলে ডিউটি যাওয়ার সময় বলে গিয়েছিল মঙ্গলবার পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজের নবান্ন অভিযান আছে। ভোর ভোর ডিউটিতে যোগ দিতে হবে। রাতে বাড়ি ফিরব না। কিন্তু সেই আন্দোলন সামালানোর ডিউটি করতে গিয়ে ইটের আঘাতে ছেলের চোখের যে এই অবস্থা হবে, সেটা কে জানত! এই ভাষাতেই প্রতিক্রিয়া জানালেন কলকাতা পুলিসে কর্মরত সার্জেন্ট দেবাশিস চক্রবর্তীর মা গৌরী চক্রবর্তী। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ঘরে টিভিতে বসে ছেলের এই সংবাদ শোনার পর থেকেই দুশ্চিন্তা গ্রাস করেছে তাঁর মা গৌরী চক্রবর্তী ও বাবা সন্দীপ চক্রবর্তীকে। উলুবেড়িয়া পুরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বাউড়িয়ায় শ্যামসুন্দরচক কলোনির বাসিন্দা দেবাশিস চক্রবর্তীর স্ত্রী দেবারতি চক্রবর্তীও পুলিসে কর্মরত। বাড়িতে মা, বাবা, স্ত্রী ছাড়াও রয়েছে ছেলে দেবার্ঘ্য। সে আপার নার্সারিতে পড়ে। কথা প্রসঙ্গে গৌরী চক্রবর্তী বলেন, মঙ্গলবার ছেলের ডিউটি থাকায় ফোন করা হয়নি। দুপুরে একবার ফোন করলেও ব্যস্ত থাকায় বিকেল ৪টে নাগাদ ফের ফোন করি। তখনও ফোন ধরেনি। তিনি জানান, বিকেল ৫টা নাগাদ বউমা ফোন করে ছেলের চোখের অবস্থা জানায়। আমাকে বলে ছেলেকে পিজিতে নিয়ে আসা হয়েছে। নাতি টিভিতে কার্টুন দেখায় খবর দেখতে পারিনি। পরে রাতে টিভির খবরে সব জানতে পারি। তিনি বলেন, যতটুকু জেনেছি, রাতেই শঙ্কর নেত্রালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে ছেলেকে। সেখানে রাত ১০টায় অপারেশন হয়েছে। শুনেছি, ভালো চিকিৎসার জন্য ওকে অন্যত্র নিয়ে যাওয়া হবে। গৌরীদেবী বলেন, আগের রাতে শুনেছিলাম, ভিশন ভালো আছে। মঙ্গলবারের আন্দোলন নিয়ে তাঁর বক্তব্য, সঠিক বিচারের দাবিতে জনতা ও ছাত্রসমাজ পথে নেমেছে। পুলিস পুলিসের কাজ করছে। কিন্তু ছাত্ররা পুলিসকে দেখলেই এখন আক্রমণ করছে। যে কোনও আন্দোলন শান্তিপূর্ণ হওয়া উচিত। এই ঘটনার পিছনে সমাজবিরোধীর হাত থাকতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি। গৌরীদেবী বলেন, মঙ্গলবার ছেলের এই অবস্থা শোনার পর থেকে আমাদের রাতের ঘুম উড়েছে। ছেলে সুস্থ হয়ে কবে বাড়ি ফিরবে, সেই চিন্তায় এখন দিন গুনছি আমরা। 
  • Link to this news (বর্তমান)