দক্ষিণ ২৪ পরগনায়, ট্রেন অবরোধে ভোগান্তি, মওকা বুঝে চড়া ভাড়া হাঁকল বহু অটো
বর্তমান | ২৯ আগস্ট ২০২৪
সংবাদদাতা, বারুইপুর ও কাকদ্বীপ: বিজেপির ডাকা ১২ ঘণ্টা বাংলা বন্ধে দক্ষিণ ২৪ পরগনায় স্বাভাবিক ছিল জনজীবন। তবে সকালে শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখার লক্ষ্মীকান্তপুর, ডায়মন্ডহারবার, বারুইপুর, ক্যানিং লাইনে দফায় দফায় অবরোধ হওয়ায় ভোগান্তি হয় নিত্যযাত্রীদের। অধিকাংশ স্টেশনেই ট্রেন আটকে থাকে কয়েক ঘণ্টা। বিজেপি কর্মীরা কখনও ওভারহেড তারে কলাপাতা ফেলে, কখনও লাইনের উপর বসে পড়ে বিক্ষোভ দেখান। ফলে নিত্যযাত্রীদের অনেককেই লাইন ধরে হেঁটে গন্তব্যস্থলে যেতে দেখা গিয়েছে। এদিকে, অবরোধের জেরে অটো পেতে সমস্যা হয় মানুষের। অনেক অটোচালক মওকা বুঝে বারুইপুর থেকে গোচরণ, ক্যানিং যেতে চড়া ভাড়া হেঁকেছেন বলে অভিযোগ।
এদিন সকালে লক্ষ্মীকান্তপুর শাখার গোচরণ, বহড়ু, দক্ষিণ বারাসত, জয়নগর-মজিলপুর স্টেশনে অবরোধ হয়। অবরোধ তুলতে গেলে দক্ষিণ বারাসত স্টেশনে অবরোধকারীদের সঙ্গে পুলিসের বচসা হয়। পরে পুলিস লাঠি উঁচিয়ে তেড়ে গেলে সরে যায় অবরোধকারীরা। বারুইপুর স্টেশনের ৪ নম্বর প্ল্যাটফর্মে বারুইপুর লোকালের সামনে অবরোধ তুলতে গেলে তৃণমূলের কর্মীদের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের ধাক্কাধাক্কি, ধস্তাধস্তি হয়। সোনারপুর স্টেশনেও বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে পুলিসের বচসা হয়। পরে পুলিস ১৫ জন কর্মীকে আটক করে। ডায়মন্ডহারবার শাখার হটোর, উত্তর রাধানগর, ধামুয়া স্টেশনে অবরোধ করেন বিজেপি কর্মীরা। ক্যানিং লাইনে বিদ্যাধরপুর স্টেশনে ওভারহেড তারে কলাপাতা ফেলে দেওয়া হয়। পরে জিআরপি গিয়ে তা সরিয়ে দেয়। দক্ষিণ শাখায় বেলা গড়িয়ে যায় ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হতে। ডায়মন্ডহারবার এবং কাকদ্বীপ লাইনে সবথেকে বেশি হয়রানির শিকার হন যাত্রীরা। এদিকে, কুলতলি ও বারুইপুরে রাস্তা অবরোধ করলে পুলিস তা তুলে দেয়। এদিনের বন্ধে গাড়ি চলাচল স্বাভাবিক ছিল। স্কুল-কলেজে ক্লাস হয়েছে অন্যান্য দিনের মতোই। পড়ুয়া ও শিক্ষকদের হাজিরাও ছিল স্বাভাবিক।
রাস্তায় বাস, অটো চলাচল করলেও যাত্রী সংখ্যা ছিল কম। বন্ধের প্রভাব পড়েনি কাকদ্বীপে। সেখানে দোকানপাট খোলা ছিল। হাতেগোনা সরকারি বাস চললেও বেসরকারি বাসের সংখ্যা কম ছিল। নামখানার নারায়ণপুর, কাকদ্বীপের নতুন রাস্তায় বিজেপি অবরোধ করে। কিন্তু তা বেশিক্ষণ