• হকারদের সরাতে তৎপরতা থাকলেও দৃশ্যদূষণ রুখতে নেই কোনও উদ্যোগ
    বর্তমান | ২৯ আগস্ট ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, বারাসত: কোথাও রাস্তার মোড়ে হাত জোড় করে মানুষের কাছে ভোট চাইছেন নেতারা, কোথাও জামাকাপড়ের বিজ্ঞাপন। কোথাও আবার ঠান্ডা পানীয়, কেউ বা মোবাইল ফোন সার্ভিস প্রোভাইডারের ফ্লেক্স টাঙিয়েছেন। পুজোর আগে এইসব ছবিই ঢেকেছে শহরের মুখ। বারাসত থেকে গোবরডাঙা কিংবা বসিরহাট থেকে বাদুড়িয়া– সর্বত্রই চিত্রটা একইরকম। এদিকে নাগরিকদের অভিযোগ, এই বিজ্ঞাপনের হোর্ডিংয়ের জেরে শহরের সৌন্দর্য নষ্ট হচ্ছে। শহরে মানুষের যাতায়াতের জন্য হকারদের সরানো হচ্ছে। কিন্তু শহরের সৌন্দর্যের হানি ঘটানো এই বিজ্ঞাপনগুলি নিয়ে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয় না।

    সদর শহর বারাসতের বিভিন্ন মোড়ে টাঙানো রয়েছে ছোট-বড় হোর্ডিং। শহর হোর্ডিংয়ে কার্যত মুড়ে ফেলা হয়েছে। এমন হোর্ডিংয়ে ঢাকা শহর ক্রমশ অচেনা হয়ে উঠছে নাগরিকদের কাছে। পরিকল্পনাহীনভাবে সাইন বোর্ড টাঙানোয় শহরের সৌন্দর্য নষ্ট হচ্ছে বলে অভিযোগ শহরবাসীর। যশোর ও টাকি রোডের দু’ধারে, স্টেশন রোডে– সর্বত্রই একই ছবি। কোথাও একটি ব্যানারের উপর পড়ছে নতুন ব্যানার। এর জেরে শহরে দৃশ্যদূষণ হচ্ছে বলে মত নাগরিকদের। দিনদিন এই বিজ্ঞাপনের বহর বাড়ছে এয়ারপোর্ট লাগোয়া মধ্যমগ্রাম পুরসভাতেও। বাদু রোড, সোদপুর রোড, দোলতলা সহ বিভিন্ন এলাকায় নামী কোম্পানিগুলি বিজ্ঞাপন দিচ্ছে। সমানতালে বিজ্ঞাপন পড়েছে হাবড়া, গোবরডাঙা ও অশোকনগরেও।

    বারাসতের বাসিন্দা দীপক মণ্ডল বলেন, আগে বিজ্ঞাপনের এত হোর্ডিং টাঙানো হতো না। সাম্প্রতিকালে বেড়েছে। সামনে দুর্গাপুজো। তাই এখন বিজ্ঞাপনের সংখ্যা আরও বাড়বে। হাবড়ার বাসিন্দা পেশায় বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক শুভ্রনীল মুখোপাধ্যায় বলেন, শহরে সবুজায়নের উপর জোর দিলে তাতেও প্রধান বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে বিজ্ঞাপন চক্র। এমনকী হোর্ডিং লাগাতে গিয়েও গাছের ডালপালা ছাঁটা হচ্ছে। আবার কোথাও গাছে পেরেক গেঁথে ঝোলানো হচ্ছে সাইনবোর্ড। এতে গাছপালার আয়ু কমছে। সরকার হকার সরাতে ব্যবস্থা নিচ্ছে, কিন্তু দৃশ্যদূষণ রুখতে কোনও পদক্ষেপই নেই। -নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)