• চুঁচুড়ার ফেরিঘাট ও ৫০০ মিটার এলাকা সাজাবে পরিবহণ দপ্তর
    বর্তমান | ২৯ আগস্ট ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, চুঁচুড়া: চুঁচুড়ার ফেরিঘাট ও সংলগ্ন পাঁচশো মিটার এলাকা সাজিয়ে তোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য পরিবহণ দপ্তর। পাশাপাশি ফেরিঘাটে আরও একটি বিকল্প জেটিও তৈরি করা হবে। আগস্টের শেষ সপ্তাহে চুঁচুড়া পুরসভার তত্ত্বাবধানে চূড়ান্ত প্রকল্প রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে পরিবহণ দপ্তরে। পুরকর্তাদের দাবি, পরিবহণ দপ্তরের পরামর্শ মতোই প্রকল্পের রূপরেখা চূড়ান্ত করে জমা দেওয়া হয়েছে। স্বভাবতই এই প্রকল্প অনুমোদন হবে বলেই ধরে নেওয়া যায়। অনুমোদন পেলেই কাজ শুরু হবে বলে জানিয়েছেন পুরকর্তারা।

    পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, পুরনো ফেরিঘাট থেকে বর্তমান ফেরিঘাট পর্যন্ত বিরাট এলাকাকে সৌন্দর্যায়ন করা হবে। জলপথের যাত্রীদের নানা সুবিধা দেওয়ার পরিকল্পনাও থাকবে সেখানে। যাত্রীনিবাস, পানীয় জল ও শৌচাগারের ব্যবস্থা থাকবে। অপরিসর টিকিট কাউন্টারের পরিবর্তে বড়সড় নতুন কাউন্টার তৈরি হবে। পুরসভার চেয়ারম্যান অমিত রায় বলেন, পরিবহণ দপ্তর চূড়ান্ত প্রকল্প অনুমোদনের জন্য জমা নিয়েছে। গোটা বিষয়টিই দেখছেন রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী। ওই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে জেটিঘাট সংলগ্ন এলাকার ভোল বদলে যাবে। যাঁরা জলপথে যাতায়াত করবেন, শুধু তাঁদের জন্যই নয়, সাধারণেরও এটি বেড়ানোর জায়গা হবে। পরিবহণ দপ্তর ও পুরসভা মিলিতভাবে এই কাজ করবে।

    পরিবহণ দপ্তর ও পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে পরিবহণ দপ্তর চুঁচুড়া ফেরিঘাটের উন্নতির পরিকল্পনা করছিল। তারসঙ্গে স্থানীয় উন্নয়নকে জুড়ে দিয়েছে পুরসভা। এ নিয়ে একটি সার্বিক ‘মাস্টার প্ল্যান’ তৈরি করা হয়েছে। এটি যেমন দর্শনীয় স্থান হবে, তেমনই জলপথ পরিষেবার মানেরও উন্নতি হবে। গঙ্গার ওপারে যাতায়াতের ক্ষেত্রে দু’টি জেটির প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। একটি থেকে লঞ্চ ছাড়বে, অন্যটিতে ওপার থেকে এসে নোঙর করবে। এই প্রকল্পের মধ্যে বিসর্জনের ঘাটটিও আধুনিক করা হবে। চুঁচুড়ার সিংহভাগ পুজোর প্রতিমা ফেরিঘাটের কাছেই বিসর্জন হয়। 
  • Link to this news (বর্তমান)