• মৃত্যু হার কম, মেলে ভালো পরিমাণ মাংস, সুন্দরবনের গাড়ল ভেড়ার চাহিদা তুঙ্গে
    বর্তমান | ২৯ আগস্ট ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: সুন্দরবনের নোনা বাতাস ও পরিবেশে দিব্যি বেঁচে থাকতে পারে তারা। নোনা জমিতে ঘাস তাদের প্রধান খাদ্য। এরা গাড়ল প্রজাতির ভেড়া। গোটা রাজ্যের মধ্যে একমাত্র দক্ষিণ ২৪ পরগনার সুন্দরবনেই এদের পাওয়া যায়। বর্তমানে এদের চাহিদা তুঙ্গে। বিভিন্ন জেলার প্রাণীপালকরা এই ভেড়া কিনে নিয়ে যেতে ভিড় করছেন এখানে। কারণ এদের মৃত্যু হার কম। রোগও কম হয়। মাংস ভালো পাওয়া যায়। এই ভেড়ার উপর নানা গবেষণা করার পর এমনটাই জানা গিয়েছে।

    শুধু তাই নয় কল্যাণীতে যে সরকারি ফার্ম রয়েছে, সেখানেও এই জেলা থেকে ভেড়া কিনে নিয়ে গিয়ে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। তারা অন্যান্য পরিবেশে কতটা মানিয়ে নিতে পারছে, সেটা যেমন দেখা হচ্ছে, তেমনই ব্রিডিং করিয়ে এই প্রজাতির সংখ্যা বৃদ্ধি করার লক্ষ্য রয়েছে সরকারের। পরবর্তী সময়ে এই ভেড়ার মাংস বিদেশে রপ্তানি করা গেলে ভালো আয় হবে রাজ্যের বলে অভিমত আধিকারিকদের।

    বর্তমানে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায় এই ভেড়ার সংখ্যা প্রায় এক লক্ষ। সুন্দরবন লাগোয়া অঞ্চলেই এর বেশি দেখা মেলে। প্রচুর পরিবার এই ভেড়া প্রতিপালন করেই তাদের জীবিকা অর্জন করে। গোসাবা ও বাসন্তীতেই সর্বোচ্চ সংখ্যক গাড়ল ভেড়া রয়েছে। আধিকারিকরা বলছেন, যেহেতু এই প্রাণীর বিশেষ রোগ হয় না এবং প্রতিকূল পরিবেশেও দিব্যি বেঁচে থাকে, তাই এর লালনপালনে খুব বেশি খরচ নেই। উল্টে গ্রামবাসীরা এই ভেড়া বিক্রি করে ভালো টাকা রোজগার করেন।

    এই ভেড়া সম্পর্কে বিভিন্ন জায়গায় খবর ছড়িয়ে পড়তেই এখন অনেকেই এই প্রাণী নিতে আগ্রহ দেখাতে শুরু করেছেন। তাঁরাও নিজেদের জেলায় এই ভেড়ার ব্রিডিং করানোর পরিকল্পনা নিয়েছেন। এদিকে, এবার সরকারিভাবে সুন্দরবনের সাতটি ব্লকে বেশ কিছু পরিবারকে এই ভেড়া বণ্টন করা হবে বলে ঠিক হয়েছে। - নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)