ধর্ষণ বিরোধী আইন পাশে বিশেষ অধিবেশনের ডাক মমতার, কী বলছে বিরোধীরা?
প্রতিদিন | ২৯ আগস্ট ২০২৪
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ। তা নিয়ে উত্তাল সর্বত্র। দোষীর কঠোর থেকে কঠোরতম সাজার দাবিতে সরব প্রায় প্রত্যেকে। এই পরিস্থিতিতে ধর্ষণ বিরোধী আইন আনার কথা বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ১০ দিনের মধ্যে এই বিল আনতে বিধানসভায় বিশেষ অধিবেশন ডাকার কথাও বলেছেন। মুখ্যমন্ত্রীর এই প্রস্তাবে সহমত বিরোধী বাম, কংগ্রেস ও বিজেপি?
ধর্ষণ বিরোধী আইন আনার প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীকে সমর্থন করেননি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, “উনি আইন আনতে পারেন না। উনি আর জি কর ইস্যুকে ছোট করে দেখছেন। সুপ্রিম কোর্ট বুঝে নেবে তদন্তকারীদের রিপোর্ট। উনি আর ওনার মন্ত্রীরা যেভাবে এই ঘটনাকে চাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছে সেটা লজ্জার। যেভাবে লাশ দাহ করেছেন, প্রমাণ লোপাট করিয়েছেন সন্দীপ ঘোষকে দিয়ে তার বিচার চাই। যে জনরোষ তৈরি হয়েছে সেটাই ভয় পেয়ে জনমতকে ঘুরিয়ে দিতে চান।” আচমকা অধিবেশন ডাকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন শুভেন্দু। তাঁর মতে, “বিধানসভার অধিবেশন কবে বসবে সেটা স্পিকার বলবেন। উনি কেন? হাঁসখালি থেকে পার্ক স্ট্রিট ধর্ষণ কাণ্ড নিয়ে তিনি অতীতে যে মন্তব্য করেছেন, তা কীভাবে ঢাকবেন?”
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। তাঁর গলাতেও বিরোধিতার সুর স্পষ্ট। একের পর এক ধর্ষণের ঘটনা রাজ্যে ঘটলেও কেন অতীতে এমন আইন আনার কথা ভাবলেন না মমতা, সে প্রশ্ন তোলেন। অধীর আরও বলেন, “আজ শুনে ভালো লাগল দিদি বলছে, পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভায় আইন আনব। ধর্ষণ করলে এনকাউন্টার করে দাও, ফাঁসি দিয়ে দাও বলছে। এনকাউন্টারের গল্প যোগী আদিত্যনাথ, অসমের হিমন্ত বিশ্বশর্মাকে বলতে শুনেছি। আর এখানকার খোকাবাবুকে বলতে শুনেছি। অদ্ভূত মিল লাগছে। ভারতবর্ষের আইনে কী ধর্ষককে ফাঁসি দেওয়া যায় না? তার অনেক উদাহরণ রয়েছে। নির্ভয়ার ধর্ষকদের ফাঁসি দেওয়া যায়নি? এই কলকাতার বুকে ধনঞ্জয়ের ফাঁসি হয়েছে, ধর্ষণ কাণ্ডে। কিন্তু প্রশ্ন অন্য জায়গায়, ফাঁসি দেওয়ার জন্য প্রমাণ চাই।” আর জি কর কাণ্ডে প্রমাণ লোপাটের অভিযোগ অধীরের।
সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীও আর জি কর কাণ্ডে প্রমাণ লোপাটের অভিযোগে সরব। তিনি বলেন, “ফাঁসি তো দেওয়া যায়, তার জন্য নতুন করে আইন করতে হবে না। তার আগে কামদুনি, পার্ক স্ট্রিট, হাঁসখালি কেন বিচার পায়নি তার উত্তর দিতে হবে। আর জি করে কেন প্রমাণ লোপাট হল, তার জবাব দিতে হবে। আর জি কর বিচার চায়। আমাদের বাংলা বিচার চায়। এরকম একটা সময়ে মুখ্যমন্ত্রী মুখ ঘোরানোর জন্য কী এক এক সময় এক এক রকম কথা বলছেন?” উল্লেখ্য, বর্তমানে আর জি কর কাণ্ডের তদন্তভার সিবিআইয়ের হাতে। কবে সামনে আসে নয়া তথ্য, সেদিকেই নজর সকলের।