• নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও জিয়াগঞ্জ-আজিমগঞ্জ পুর এলাকায় রমরমিয়ে চলছে ক্যারিব্যাগের ব্যবহার
    বর্তমান | ২৯ আগস্ট ২০২৪
  • সংবাদদাতা, লালবাগ: নিষিদ্ধ ঘোষণার পরেও জিয়াগঞ্জ-আজিমগঞ্জ পুরসভা এলাকায় রমরমিয়ে চলছে পলিথিন ক্যারিব্যাগের ব্যবহার। এর জন্য পুরসভার ঢিলেঢালা মনোভাবকেই দায়ী করেছেন পরিবেশবিদ থেকে নাগরিকদের একাংশ। পরিবেশ দূষক পলিথিন ক্যারিব্যাগ সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করতে পুরসভার নজরদারি এবং অভিযানের দাবি জানিয়েছেন তারা। জিয়াগঞ্জ-আজিমগঞ্জ পুরসভার চেয়ারম্যান প্রসেনজিৎ ঘোষ বলেন, পলিথিন ক্যারিব্যাগ ব্যবহারে অনেকটাই রাশ টানা গিয়েছে। তবে একটা অংশের ব্যবসায়ী হয়ত ব্যবহার করছেন। তাদের প্রতি নজর রাখা হচ্ছে। খুব শীঘ্রই অভিযান চালানো হবে। প্লাস্টিক ক্যারিব্যাগ ব্যবহার বন্ধ করতে জুলাই মাসে নিষেধাজ্ঞা জারি করে জিয়াগঞ্জ-আজিমগঞ্জ পুরসভা। নিষেধাজ্ঞা জারির পর সপ্তাহ খানেক ব্যবহার বন্ধ থাকলেও পরে আবার ব্যবহার শুরু হয়। সব্জির বাজার থেকে পাড়ার মুদির দোকান সবর্ত্র প্লাস্টিক ক্যারিব্যাগের রমরমা ব্যবহার চলছে। শহরবাসীর অভিযোগ, বছর চারেক আগে পুরসভা প্রথমবার শহরে প্লাস্টিক ক্যারিব্যাগ নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিল। কিছুদিন বন্ধ থাকার পর আবার ব্যবহার শুরু হয়। দ্বিতীয়বারেও একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হল। পুরসভার উদাসীনতা ও ঢিলেঢালা মনোভাবের জন্যই বন্ধ করা যাচ্ছেনা। এক সব্জি ব্যবসায়ী বলেন, নিষিদ্ধ ঘোষণার পর কয়েকদিন বন্ধ রেখেছিলাম। কয়েকদিন পর অন্যদের দেখে আবার ব্যবহার শুরু করেছি। শহরের প্রবীণ বাসিন্দা অজয় রায় বলেন, পরিবেশকে রক্ষা করতে গেলে প্লাস্টিক ক্যারিব্যাগ ব্যবহার বন্ধ করতেই হবে। পুরসভাকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেই ক্ষান্ত থাকলে হবে না। রীতিমতো ধারাবাহিক নজরদারি চালানোর পাশাপাশি মাঝেমধ্যে শহরের বাজার, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালাতে হবে। অপর এক বাসিন্দা পেশায় শিক্ষক ব্রজেন্দ্র মালাকার বলেন, প্রতিদিনের ব্যবহৃত পলিথিন ক্যারিব্যাগ নিকাশি নালায় জমা হচ্ছে। এর ফলে শহরের নিকাশি ব্যবস্থা ক্রমশ বেহাল হয়ে পড়ছে। যার আগামীতে শহরবাসীই সমস্যায় পড়বেন। সরকার বা স্থানীয় প্রশাসন নিষিদ্ধ ঘোষণা করলেই সমস্যা মিটবে। নাগরিকদের সচেতন হওয়া অত্যন্ত জরুরী। 
  • Link to this news (বর্তমান)