• প্রধানের বিরুদ্ধে মহকুমা শাসককে অভিযোগ তৃণমূল ও বিরোধী সদস্যদের
    বর্তমান | ২৯ আগস্ট ২০২৪
  • সংবাদদাতা, গঙ্গারামপুর: বিনা টেন্ডারে প্রায় ৬ লক্ষ টাকায় জল প্রকল্পের কাজ করে বেকায়দায় হরিরামপুর সৈয়দপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের প্রধান। মনোয়ারা বেগম প্রভাব খাটিয়ে নিয়মবহির্ভূত কাজ করেছেন বলে অভিযোগ। 

    ওই গ্রাম পঞ্চায়েতের ১২ জন তৃণমূল এবং বিরোধী সদস্যরা এনিয়ে হরিরামপুর ব্লক ও গঙ্গারামপুর মহকুমা শাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন।

    তৃণমূল সদস্যদের অভিযোগ, বিমলপাড়া এলাকায় দু’টি সাবমার্সিবল বসিয়েছেন পঞ্চায়েত প্রধান। সাধারণ সভায় ওই দু’টি সাবমার্সিবল বিমলপাড়ায় করার রেজুলেশন নেওয়া হয়। পঞ্চায়েতের অর্থ স্থায়ী সমিতির মিটিংয়ে প্রায় ৬ লক্ষ টাকা বরাদ্দে কাজ পাশ করিয়ে নেয় প্রধান। কিন্তু পঞ্চায়েত সদস্যদের অন্ধকারে রেখে টেন্ডার ছাড়াই রাতারাতি কাজটি করা হয়। এতেই ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন পঞ্চায়েতের বাকি তৃণমূল সদস্যরা। এপ্রসঙ্গে জানতে প্রধানকে ফোন করা হলে পঞ্চায়েতের সেক্রেটারি প্রাণতোষ রায়ের দিকে বল ঠেলেছেন তিনি। মনোয়ারার মন্তব্য, পুরো বিষয়টি সেক্রেটারি জানেন।

    যদিও প্রাণতোষ বলেন, অর্থ সমিতির মিটিংয়ে কাজটি পাশ হয়েছিল। টেন্ডার করে শুরু করার কথা। প্রধান জানিয়েছেন, সাধারণ মানুষের প্রয়োজন থাকায় তিনি কাজটি করে দিয়েছেন। সেইসময় কাউকে কিছুই জানাননি প্রধান। কী কাজ হয়েছে জানি না। উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ বিষয়টি দেখবে।

    প্রধান যেখানে সাবমার্সিবল বসিয়েছেন বলছেন, সেখানে রয়েছে মাৰ্ক টু টিউবওয়েল। এদিকে বিদ্যুৎ চুরি করেই চলছে দুটি সাবমার্সিবল। পঞ্চায়েতের তৃণমূলের সদস্য আরজুমান আলীর কথায়, তৃণমূল এবং বিরোধীরা সহ ১২ জন সদস্য গঙ্গারামপুর মহকুমা শাসক ও বিডিওর কাছে অভিযোগ জানিয়েছি। প্রধান প্রভাব খাটিয়ে জল প্রকল্পের কাজ করেছেন। এই অনিয়মের বিরুদ্ধে প্রশাসন কড়া পদক্ষেপ নিক।

    তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, পঞ্চায়েতের ২৪ জন সদস্যের অর্ধেক তৃণমূলের। তৃণমূলের চারজন, বিরোধী বিজেপি এবং নির্দল সদস্যকে নিয়ে পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন করেছিলেন প্রধান। একবছর কেটে গেলেও জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব  প্রধান সহ ‘বিদ্রোহী’ সদস্যদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নিতে পারেনি।

    জেলা তৃণমূল সভাপতি সুভাষ ভাওয়াল বলেন, তৃণমূল সমর্থিত হোক বা তৃণমূলের, প্রধান নিয়ম ভেঙে কাজ করলে আইন আইনের পথে চলবে। দলের টিকিট নিয়ে যাঁরা বিরোধীদের সঙ্গে নিয়ে বোর্ড গড়েছেন, তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। (সৈয়দপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বিমলপাড়া এলাকায় টেন্ডার ছাড়াই তৈরি হয়েছে জলপ্রকল্প।-নিজস্ব চিত্র)
  • Link to this news (বর্তমান)