মাতাল ধরে ‘ছেড়ে দে মা কেঁদে বাঁচি’ অবস্থা মাটিগাড়া থানার
বর্তমান | ২৯ আগস্ট ২০২৪
নিজস্ব প্রতিনিধি, শিলিগুড়ি: মাতাল ধরে এনে ‘ছেড়ে দে মা কেঁদে বাঁচি’ অবস্থা পুলিসের। সেই মাতাল অবার যে সে মাতাল নয়। একসময় শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটন পুলিসের মাল্লাগুড়ি পুলিস লাইনে সিভিক ছিলেন। পুলিস সূত্রেই জানা গিয়েছে, মাতলামোর জন্য চাকরিটা গিয়েছে তাঁর। সেই মাতালই বুধবার বন্ধের দিনে খাপরাইল মোড়ে ভরপটে মদ খেয়ে দাপিয়ে বেড়ায়। তাঁকে ধরে এনে পুলিস লকআপে পুড়তেই পুলিসের ‘ছেড়ে দে মা কেঁদে বাঁচি’ অবস্থা।
আইসি’র চেম্বার থেকে ডিউটি অফিসারের রুম কার্যত একাই চিৎকার করে মাথায় তোলেন। অকথ্য ভাষায় চিৎকার করে যাচ্ছেতাই গালমন্দ করতে থাকেন। কার্যত হুঁশ হারিয়ে একসময়ে যাঁদের ‘রেসপেক্ট’ করতেন তাঁদেরই গালিগালাজ করতে থাকেন। বিভিন্ন অভিযোগ নিয়ে থানায় আসা লোকজন লকআপের দিকে উঁকি মারতেই গলার তেজ বাড়ছিল তাঁর। এমন কর্মকাণ্ডে থানার সেন্ট্রি থেকে অন্যান্য কর্মীদের তখন মুখ লুকানোর মতো অবস্থা। থানায় বসে লকআপে থাকা ‘বন্দিদের’ যে পুলিস অফিসররা ধমক দিতেন তাঁরাও যেন সেই যুবকের বেয়াদপিতে চুপসে যান। অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করা থেকে শুরু করে থানায় ডিউটিতে থাকা পূর্ব পরিচিত পুলিস কর্মীদের দেখে নেওয়ার হুমকিও ছাড়তে থাকেন।
বুধবার বিজেপি বাংলা বন্ধ ডেকেছিল। অশান্তি এড়াতে সকাল থেকেই পুলিস ছিল রাস্তায়। মাটিগাড়া থানা সূত্রে জানা গিয়েছে, সকাল ১১টা নাগাদ ওই যুবক আকণ্ঠ মদ্যপ অবস্থায় খাপরাইল এলাকায় চিৎকার চেঁচামেচি করছিলেন। মতলামি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছিল যে রাস্তা দিয়ে যাওয়া গাড়ি ও পথচলতি মানুষকে ঢিল ছোড়ার চেষ্টা করছিলেন। গালিগালাজ করছিলেন। তাঁকে বাগে আনতে আটক করে থানায় নিয়ে আসেন কয়েকজন পুলিস কর্মী। লকআপে ঢুকিয়ে দেওয়ার পর শুরু হয় তাঁর তাণ্ডব। আইসি অরিন্দম ভট্টাচার্য বলেন, আটক যুবকের পরিবারের লোকজন সন্ধ্যায় সময় থানায় আসে। পরে ওই যুবককে ব্যক্তিগত জামিনে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।