• বাজার গেলেন, ভিড় দেখে উদয়ন বললেন, ‘পদ্মের নামগন্ধও নেই’
    বর্তমান | ২৯ আগস্ট ২০২৪
  • সংবাদদাতা, দিনহাটা: বুধবার বন্‌ধ ডেকেছিল বিজেপি। বন্‌ধের দিন সকালেই বাড়ির পাশে প্রত্যুষা বাজারে হাজির হন উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী উদয়ন গুহ। বাড়ির জন্য পটল আর কুমড়ো কেনেন বাজার থেকে। বাড়িতে বাজার পৌঁছে দিয়েই টোটো করে বেরিয়ে পড়েন রাস্তায়। দিনহাটা শহর ঘুরে চওড়াহাট বাজারে হাজির হন। সেখানে মাছ-মাংস ব্যবসায়ী সহ সব্জি বিক্রেতার সঙ্গে কথা বলেন। ওই বাজার থেকে মিছিল করে সুভাষ ভবনের পার্টি অফিসে আসেন। সেখানে দলীয় কর্মীদের সঙ্গে খোশগল্প করার ফাঁকে বলেন, ‘বাজার ঘুরলাম। কোথাও পদ্মের নামগন্ধ নেই’। 


    পরে ফের মিছিল বের করেন। দিনহাটা চৌপথিতে মিছিল নিয়ে যান। সেখান থেকে ভেটাগুড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হন। ভেটাগুড়ি ঘুরে কোচবিহারে পৌঁছন মন্ত্রী। জেলা শহরে মিছিল করে দিনহাটা কোর্ট চত্বরে আসেন। আইনজীবীদের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করার পরে বাড়ি ফেরেন তিনি। সকাল থেকেই সঙ্গীসাথীদের নিয়ে বিভিন্ন এলকায় দাপিয়ে বেরিয়েছেন। বন্‌ধে দিনহাটা শহরে জনজীবন ছিল স্বাভাবিক। মন্ত্রী বলেন, লোকসভা ভোটের পরে কাদের গায়ে এখনও পদ্মের গন্ধ রয়েছে, সেটা জানার জন্য দিনভর শহরে ঘুরে বেরিয়েছি।  কোথাও কোনও পদ্মের গন্ধ পাইনি। খেলার ময়দানে বিরোধী দলের খেলোয়াড় খুঁজে না পাওয়ায় মুষড়ে পড়েছেন আমাদের দলের খেলোয়াড়রা। আর কতদিন বিরোধীশূন্য মাঠে দিনহাটাতে খেলব আমরা, প্রশ্ন তাঁর। দিনহাটাতে কর্মসূচি করতে পারেননি তাঁরা, স্বীকার করেছেন বিজেপি নেতারা। কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলা থাকায় অনেকেই পথে নামেননি, অজুহাত তাঁদের। কোচবিহার দক্ষিণের বিজেপি বিধায়ক নিখিলরঞ্জন দে বলেন, পথে নামলেই পুলিস গ্রেপ্তার করছে। লোকসভা ভোটের পর থেকেই একাধিক মিথ্যা মামলায় দিনহাটার বিজেপি নেতা-কর্মীরা জর্জরিত। বেশিরভাগ কর্মী এখনও জামিন পাননি। আন্দোলনে নামলে তাঁদের ফের মিথ্যা মামলা দিয়ে গ্রেপ্তার করা হবে। এই আশঙ্কায় দিনহাটাতে কর্মসূচি করতে পারেননি দলের নেতা-কর্মীরা। 


    শুধু দিনহাটা শহর নয়, গ্রামীণ এলাকাতেও বিজেপির কর্মসূচি আঁচড় কাটতে পারেনি। সিতাইতে দাপটের সঙ্গে ঘুরে বেরিয়েছেন কোচবিহারের এমপি জগদীশচন্দ্র বর্মা বসুনিয়া। সিতাই বাজারে তিনি দলীয় সমর্থকদের নিয়ে মিছিল করেন। সাংসদ বলেন, আর জি করের ঘটনায় বিজেপি বিচার চাইছে না, বরং ওই ঘটনাকে সামনে রেখে গদি দখলের লড়াই করছে। সাধারণ মানুষ বুঝতে পেরেছে। সেকারণেই ওদের বন্‌ধকে কেউ সমর্থন করেনি। সাধারণ মানুষের মনোভাব বুঝতে পেরে মাঠেও নামেননি বিজেপি কর্মীরা। 


    তবে তুফানগঞ্জের বিজেপি বিধায়ক মালতী রাভা রায় এদিন একাধিকবার আটক হন। কোচবিহারে কোতোয়ালি থানা তাঁকে আটক করে। পরে ছেড়ে দিলে তিনি তুফানগঞ্জে যান। সেখানেও পুলিস তাঁকে আটক করে। মালতী বলেন, জোর করে দোকানপাট খুলেছিল তৃণমূল আশ্রিত গুন্ডারা। অফিস আদালত খোলা থাকলেও সাধারণ মানুষ বাড়ির বাইরে বের হয়নি।
  • Link to this news (বর্তমান)