• নবান্ন অভিযানের নামে তাণ্ডব, জামিন নামঞ্জুর আদালতে
    বর্তমান | ২৯ আগস্ট ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: নবান্ন অভিযানের নামে মঙ্গলবার  আন্দোলনকারীরা সীমাহীন তাণ্ডব চালিয়ে ছিলেন। তাঁরা অভিযান নয়, নবান্ন দখল করতে গিয়েছিলেন। তার জেরে শুধুমাত্র সরকারি সম্পত্তি নষ্টই হয়নি, একাধিক পুলিস কর্মী জখমও হয়েছেন। গাড়িতে অগ্নিসংযোগের মতো ঘটনা ঘটানো হয়েছে। স্বাভাবিক জনজীবন বিপর্যস্ত করে তোলা হয়েছিল। তাই ধৃতদের কোনও অবস্থাতেই জামিন দেওয়া ঠিক হবে না। তাতে মামলা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। বুধবার ব্যাঙ্কশাল আদালতে ধৃতদের জামিনের বিরোধিতা করতে গিয়ে সরকারি কৌঁসুলি অভিজিৎ চট্টোপাধ্যায় ও দীপঙ্কর কুণ্ডুরা এমনই মন্তব্য করেন। তাঁরা বলেন, আন্দোলন করার অধিকার রয়েছে সকলের। তাই বলে তাণ্ডব চালানোকে কোনও মতেই সমর্থন করা যায় না। আন্দোলনকারীদের আক্রমণে এক পুলিস কর্মীর চোখ ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাঁরা পুলিস কর্মীদের কাজে বাধা দিয়েছেন। তাই একে আন্দোলন বলা যায় না। সরকার পক্ষের ওই বক্তব্যের পরই জোরালো আপত্তি তোলেন ধৃতদের আইনজীবীরা। তাঁরা সওয়ালে বলেন, আন্দোলনকারীরা জাতীয় পতাকা নিয়ে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে গিয়েছিলেন। পুলিসই তাঁদের প্ররোচনা দিয়েছিল। শুধু তাই নয়, আমাদের মক্কেলদের বেধড়ক মারধর করা হয়। ওই বক্তব্যের সময় লকআপ থেকে এক অভিযুক্ত জামা খুলে দেখান কীভাবে তাঁকে মারা হয়েছে। অন্য এক অভিযুক্ত জামা উঠিয়ে শরীরের দাগ বিচারককে দেখান। দুই তরফে সওয়াল চলাকালে এজলাস কক্ষ বার বার উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। চিৎকার চেঁচামেচিতে মাঝে মাঝে বিচারক উষ্মা প্রকাশ করেন। তারই মধ্যে মামলার অগ্রগতির বিষয় নিয়ে তদন্তকারীরা আদালতে কেস‑ডায়েরি পেশ করেন। এদিন ব্যাঙ্কশাল কোর্টের তিনটি এজলাসে চলে এই মামলার শুনানি। সমস্ত শুনানির শেষে বিচারক অভিযুক্তদের জামিনের আর্জি নাকচ করে দিয়ে তাঁদের পুলিস হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এদিন কোর্ট চত্বরে বিভিন্ন অংশ গার্ডরেল দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয়। অপ্রীতিকর ঘটনা রুখতে পর্যাপ্ত পুলিস বাহিনী মোতায়েন করা ছিল। জামিন বাতিল হতেই কোর্ট চত্বরে আসা কিছু যুবক আর জি কর কান্ডের বিচার চেয়ে স্লোগান দিতে থাকেন। বাড়ির লোকজনের জামিন বাতিল হওয়ায় কোর্ট চত্বরের বাইরে বেশ কয়েকজনকে কাঁদতে দেখা যায়। সব মিলিয়ে এদিন দিনভর কোর্ট চত্বর ছিল উত্তপ্ত।                                   
  • Link to this news (বর্তমান)