• নবান্ন অভিযানে হাঙ্গামা, গ্রেফতার ছাত্র সমাজের আরও ১ নেতা
    ২৪ ঘন্টা | ২৯ আগস্ট ২০২৪
  • জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ছাত্র সমাজের আরও এক নেতাকে গ্রেফতার করল পুলিস। এনিয়ে তৃতীয়জন গ্রেফতার হল। এর আগে সায়ন লাহিড়ি ও শুভঙ্করকে গ্রেফতার করেছিল পুলিস। এবার গ্রেফতার প্রবীর দাস। নবান্ন অভিযানে গোলমালের ক্ষেত্রে এদের বড় ভূমিকা ছিল। সাংবাদিক সম্মেলন করে ওই তিনজন নবান্ন অভিযানের ডাক দেয়।

    মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিতে নবান্ন অভিযান করে ছাত্র সমাজ নামে একটি অজানা সংগঠন। সেই অভিযানের কোনও অনুমতি ছিল না। ফলে পুলিস সেই অভিযানকে বেআইনি বলে ঘোষণা করে। ওই অভিযানে জায়গায় জায়গায় পুলিসের সঙ্গে সংঘর্ষ হয় বিক্ষোভকারীদের। কমপক্ষে ২৫ জন পুলিস আহত হয়। একজন পুলিসকর্মীর চোখ নষ্ট হয়ে গিয়েছে। একটি গেস্টহাউস থেকে প্রবীরকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

    ওই গ্রেফতার নিয়ে বিজেপি নেতা সজল ঘোষ বলেন, অত্যন্ত লজ্জার, দুর্ভাগ্যজনক। আমি ওই তিনজনের কাউকেই চিনি না। চোখেও দেখিনি। এদেরকে কেন গ্রেফতার করা হল? এদেরকে কি ইট মারতে দেখা গিয়েছে, প্ররোচনা দিয়েছিল? আদৌ ওই ৩ জন ঘটনার দিন এসেছিল কিনা তাও জানা যায়নি। পুলিস বলেছিল অভিযান বেআইনি। তার পরেও কেন পুলিস বলেছিল শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে কোনও বলপ্রয়োগ হবে না। এদেরকে কি পুলিসকে মারধর করতে দেখা গিয়েছে। এরা হয়তো ডাক দিয়েছিল। সেই ডাকে মানুষ গিয়েছে।

    ওই গ্রেফতারি নিয়ে বিশিষ্ট আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, গ্রেফতার করে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন বন্ধ করা যায় না। এই আন্দোলনের পেছনে যদি অন্য কোনও উদ্দেশ্য থাকতে তাহলে সেটা বের করার জন্য জিজ্ঞাসাবাদ করা যেতে পারে। যারা অভিযানের ডাক দিয়েছিলেন তারা ছাত্র কিনা তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। তবে গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখা দরকার।

    কংগ্রেস নেতা সৌম আইচি রায় বলেন, মুখ্যমন্ত্রী গতকাল স্পষ্ট করে দিয়েছেন, বলেছেন ফোঁস করতে হবে। উনি ধমক চমক ও অগণতান্ত্রিক ভাষায় কথা বলছেন। প্রশাসন ভয় পেয়েছে।

    তৃণমূল নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন,  হঠাত্ অজানা একটি সংগঠন গজিয়ে উঠল। তার মধ্যে তিনজন বলছেন কোনও রাজনৈতিক দল করি না কিন্তু আরএসএস করি। তারা বলবে আমরা ডেকেছি সবাইকে। যারা এসেছিল তাদের মধ্যে ছাত্র কজন ছিল? অভিযানে ভাঙচুর হয়েছে। এটা তো ছাত্রদের পক্ষেও অপমান।  চরম বেআইনি কার্যকলাপ। এর দায়ভার তো নিতেই হবে।

  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)