মনিরুল ইসলাম, উলুবেড়িয়া: নবান্ন অভিযানের ডিউটিতে গিয়ে রক্তাক্ত হয়েছেন। একটা চোখ হারানোর আশঙ্কা রয়েছে পুলিশ কর্মী দেবাশিস চক্রবর্তীর। ছেলের এই পরিণতি মানতেই পারছেন না বাবা-মা। উড়েছে রাতের ঘুম। কতদিনে ছেলে বাড়ি ফিরবে সেই অপেক্ষায় তাঁরা। আক্রান্ত পুলিশকর্মীর পরিবারের দাবি, ঘটনার নেপথ্যে সমাজ বিরোধীরা।
উলুবেড়িয়া পুরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বাউড়িয়ার শ্যামসুন্দরচক কলোনির বাসিন্দা দেবাশিস চক্রবর্তী। তাঁর পরিবারে রয়েছেন স্ত্রী দেবারতি চক্রবর্তী, মা গৌরী চক্রবর্তী ও বাবা সন্দীপ চক্রবর্তী ও এক ছেলে। স্ত্রী দেবারতি চক্রবর্তীও পুলিশে চাকরি করেন। আপার নার্সারিতে পড়ে ছেলে দেবার্য্য। মঙ্গলবার ছাত্র আন্দোলনে বিশেষ ডিউটি ছিল দেবাশিসের। সোমবার সকালে বেরিয়ে গিয়েছিলেন তিনি। জানিয়েছিলেন ফিরবেন না। সেই ডিউটির মাঝেই আক্রান্ত হন দেবাশিস। আন্দোলনকারীদের ছোড়া ইটে রক্তাক্ত হয় তাঁর বা চোখ। বেশ কিছুক্ষণ পর খবর পান পরিবারের সদস্যরা।
আক্রান্তের মা গৌরী চক্রবর্তী বলেন, “মঙ্গলবার ছেলে ব্যস্ত থাকবে জানতাম তাই ফোন করা হয়নি। দুপুরে ও বিকেলে ফোন করলেও ছেলের সঙ্গে কথা হয়নি। ৫টা নাগাদ বউমা ফোন করে ছেলের আক্রান্ত হওয়ার কথা জানায়। শুনি ছেলের চিকিৎসা চলছে পিজি হাসপাতালে। রাতে টিভিতে খবর দেখে জানতে পারি চোখের হাসপাতালে চিকিৎসা হচ্ছে। অস্ত্রোপচার হয়েছে। ওখানে রাত ১০টায় অপারেশন হয়েছে জানতে পারি।” গৌরীদেবীর কথায়, দুশ্চিন্তায় ঘুমোতে পারছেন না। দেবাশিসবাবুর পরিবারের দাবি, এই হামলার নেপথ্যে থাকা আন্দোলনকারীরা কোনওভাবেই ছাত্র হতে পারে না।