কোথাও বাস, গাড়ি আটকে যাত্রী বা পড়ুয়াদের নামিয়ে দেওয়া হয়েছে। কোথাও গন্তব্যে পৌঁছনোর জন্য ঘণ্টার পরে ঘণ্টা বসে থাকতে হয়েছে যাত্রীদের। পথ অবরোধে পড়ে নির্দিষ্ট সময়ে পৌঁছতে না পেরে হয়রানির অভিযোগ উঠছে। বুধবার বিজেপির বন্ধে এ ভাবেই শিলিগুড়ি এবং জলপাইগুড়ি দুই শহরে দুর্ভোগে পড়লেন যাত্রীরা। যা দেখে অনেকে বললেন, ‘‘বন্ধ করে প্রতিবাদের নামে হয়রানি ছাড়া, কিছুই হল না।’’
সকাল থেকে শিলিগুড়ি তেনজিং নোরগে বাস টার্মিনাসে বাস আটকাতে রাস্তায় নামে বিজেপি। কয়েকটি বাসকে আটানো হয়। পরে, কিছু বাস শিলিগুড়ি থেকে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন রুটে চলেছে। হাশমিচক, থেকে মহকুমার মাটিগাড়া, বাগডোগরা, নকশালবাড়ি, খড়িবাড়িতে টোটো, অটো থেকে যাত্রীদের নামিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বিজেপির বিরুদ্ধে। সরকারি কর্মী, স্কুল শিক্ষকদেরও সমস্যায় পড়তে হয়।
এ দিন কাছারি রোডে নকশালবাড়িগামী একটি উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণের বাস আটকে যাত্রীদের নামিয়ে দেয় বিজেপি। যা নিয়ে বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে বিবাদ বাধে কয়েকজন মহিলা যাত্রীর। স্কুলের বাস থেকে ছাত্রীদের ‘অনুরোধ’ করে নামিয়ে দিতে দেখা গিয়েছে শিলিগুড়ির বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষকেও।
প্রায় একই চিত্র দেখা গিয়েছে জলপাইগুড়িতেও। কদমতলা, নেতাজি পাড়া ও বৌ বাজারের বেসরকারি বাস পরিষেবা বন্ধ ছিল। সরকারি বাস চালকদের হেলমেট পরে গাড়ি চালাতে দেখা গিয়েছে। এ দিন শান্তিপাড়ার ডিপোর সামনে বিজেপি নেতা-কর্মীরা জমায়েত করেন। পুলিশের উপস্থিতিতে প্রায় ৪০টি বাস ডিপো থেকে রওনা দেয়। শিলিগুড়ি জলপাই মোড় ও শিলিগুড়ি শহরে জলপাইগুড়ি ডিপোর দু’টি বাসে ভাঙচুর করা হয়েছে বলে অভিযোগ। ঝা বাড়ি মোড়, ধাপগঞ্জ ও বোলবাড়ি এলাকায় সরকারি বাস আটকান বিজেপি নেতা-কর্মীরা। বেসরকারি বাস পরিষেবা বন্ধ থাকায় সমস্যায় পড়েন যাত্রীরা। শহরের টোটোর সংখ্যা কম থাকায় নাজেহাল হন অনেকে। জলপাইগুড়ি ডিপোর ইনচার্জ দীপক রাহা বলেন, ‘‘শিলিগুড়িতে দু’টি বাসের কাচ ঢিল দিয়ে ভেঙে দেওয়া হয়েছে।’’